মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: ঐতিহাসিক বর্ধমানে অলিতে গলিতে ইতিহাস। মুঘল যুগে বর্ধমানের নাম ছিল শরিফা বাদ তার মানে হচ্ছে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের বসবাসের জায়গা। বিভিন্ন সময়ে বর্ধমানে মুঘল সম্রাটদের বা রাজা-বাদশাদের শক্তি সঞ্চয়ের এবং নিরাপদ আশ্রয় স্থান ছিল শরিফাবাদ বা বর্ধমান। শাহজাহান থেকে শেরশাহ, নুরজাহান থেকে ফারুকশিয়ার দের ইতিহাস বর্ধমানে লুকিয়ে আছে। বর্ধমানের ইতিহাসের এক উল্লেখ্যযোগ্য অধ্যায় শের শাহ। যিনি দ্বিতীয় মোগল সম্রাট হুমায়ুনকে হটিয়ে ভারতের সিংহাসনে আসিন হয়েছিলেন। যার শাসনকাল ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। মাত্র পাঁচ বছর রাজত্বকালে গ্রান্ড ট্রাং রোড , জমি জরিপের কাজ , চোর ডাকাতদেরকে পুলিশ এনে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা আনয়ন করেছিলেন। হুমায়ুন চুনার দুর্গ আক্রমণ করলে শেরশাহ বর্ধমানের পুরাতন চকে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং সেনাবাহিনী সংগ্রহ করে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন। হুমায়ূনকে হটিয়ে চুনার দুর্গ জয় করেন শেরশাহ । পরে বাংলা বিহার ও অনেক রাজ্য জয় করে ভারতের একছত্র অধিপতি হন শের শাহ।দিল্লির সিংহাসনে বসে বর্ধমানের পুরাতন চকে ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে তৈরি করেন শের শাহী কালা মসজিদ। তিনি বর্ধমানের পুরনো দিন বা খারাপ দিন কে স্মরণ করে এই কালা মসজিদ নাম করন করেন । শেরশাহ লিপি ঐ মসজিদে আজও বর্তমান । ঐতিহাসিক বর্ধমানে মুঘল পাঠান স্থাপত্য ৫০০ বছরের কাছাকাছি সময়ের পরিকাঠামো আজও অক্ষত। ঐতিহাসিক , ইতিহাসবিদ এবং পুরাতত্ত্ববিদদেরকে বিস্মৃত করে এর নির্মাণ শৈলী। এই ঐতিহাসিক মসজিদ গুলোটিকে থাকলেও তাদের সমস্ত সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct