আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: আবারও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন গলিগ্রাম গুসকরা রোড সংলগ্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষ। এদিন বেলা দশটা নাগাদ আচমকা জাতীয় সড়কের উপরে বসে পরেন তারা। দফায় দফাই স্লোগান দিতে থাকেন। এলাকার মানুষ সুমন পবি, আক্কেল আলি, নিমাই রায়, তপন রায়, সমরেশ ঠাকুর সহ অসংখ্য মানুষের দাবী, গলিগ্রাম গুসকরা মোড়ের কাটিংটিতে প্রতিমাসে এক জন করে প্রান হারন। তাই গুসকরা মোড়ের কাটিংয়ে ফ্লাইওভার প্রয়োজন বেশি। তারা জানাই, সড়ক কতৃপক্ষ বাদামতলা ও গলিগ্রামের দুটি জায়গা নিয়ে বিষয়টি গুলিয়ে দিচ্ছে। তবে দুটি জায়গায় মধ্যখানে হলে তারা মানবেন না। কারণ এতে মুল সমস্যার সমাধান হবে না। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গলসি থানার পুলিশ। তাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। তবে কমবেশি আধ ঘন্টা ধরে চলে ওই অবরোধ। এর জেরে কার্যত অচল হয়ে যায় ২ নং জাতীয় সড়ক। গ্রামবাসীদের সাথে অবরোধে শামিল হন আশপাশের চার পাঁচটি স্কুলের বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকারা। এলাকার বাসিন্দা দীলিপ ঘোষ, অসীম চক্রবর্তীরা বলেন, তারা বারবার প্রশাসনের সকল দপ্তরে জানিয়ে কোন সুরাহা পাননি। তাই আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন। অপ্রয়োজনীয় জায়গায় ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ গুসকরা মোড়টিতে এখন প্রযন্ত কাজ শুরু করেননি।
স্থানীয় চাষি নব মেটে, ক্ষেত্রপাল মেটে, টোটন মল্লিক, অরুপ রায়দের দাবী আমরা কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষিপন্ন নিয়ে এই গুসকরা মোড় দিয়ে পার হতে হয়। বহু কৃষি শ্রমিক ও চাষি ওই মোড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তাই ওই মোড়টিতে ফ্লাইওভার করতে হবে। স্কুল শিক্ষক কাঞ্চন ব্যানার্জ্জী বলেন, আমরা কমবেশি পাঁচশো স্কুলপড়ুয়া ও এলাকার চারটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রশাসনের সকল দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি। গলিগ্রাম, মথুরাপুর ও অনুরাগপুর গ্রামের শতশত ছাত্র ছাত্রী উচ্চগ্রাম, সর, মহুনারা সহ বিভিন্ন স্কুলে পড়তে যায়। আশপাশের দশটি গ্রামের কলেজ পড়ুয়া নিত্য সড়ক পেড়িয়ে গলসি ও বর্ধমানে কলেজে যায়। তাই গুসকরা মোড়ে ফ্লাইওভারটি খুব জরুরী। তার জন্য আজ তিনি কতৃপক্ষের কাছে করজোড়ে আবেদন জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct