সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: সপ্তাহের প্রথম দিনেই অর্থ এল বাংলার কোষাগারে। রাজস্ব ঘাটতি বাবদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাকে ১ হাজার ১৩২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা পাঠাল মোদি সরকার। তবে শুধু বাংলাকেই নয়, এই অনুদান দেওয়া হয়েছে দেশের আরও ১৩টি রাজ্যকে। সেই হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ কেন্দ্রের এই দফায় মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৭ হাজার ১৮৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশের ১৪টি রাজ্যকে এই রাজস্ব ঘাটতি প্রদানের কথা জানানো হয়েছে। দেশের যে ১৪টি রাজ্যকে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তার মধ্যে বাংলাকেই সর্বোচ্চ টাকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাকা দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ভারতের বাম শাসিত রাজ্য কেরলকে। বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলা হয়েছে, এই টাকা চলতি বছরে প্রদেয় অষ্টম কিস্তির অর্থ। এই নিয়ে রাজ্যগুলিকে চলতি বছরে রাজস্ব বাবদ মোট ৫৭ হাজার ৪৬৭ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দিল মোদি সরকার।এদিন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রকের তরফে আরও একটি বিষয় জানানো হয়েছে। আর তা হল, রাজস্ব ঘাটতি বাবদ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলি মোট ৮৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা পাবে। ১৫তম অর্থ কমিশনের সুপারিশেই এই অনুদান দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ২৭৫ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় এই অনুদান দেওয়া হয় বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যে রাজ্যের যত রাজস্ব ঘাটতি, সেই রাজ্যকে বেশি পরিমাণে এই অনুদান দেওয়ার একটি প্রবণতা থাকে। এ ব্যাপারে অর্থ কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলা ও কেরল ছাড়াও দেশের যে যে রাজ্যগুলি এই অনুদান পেয়েছে, সেগুলি হল – অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা ও উত্তরাখণ্ড।তবে এই অনুদানকে ঘিরে বাংলার বুকে তৃণমূল-বিজেপি তরজা কমবে এমন সম্ভাবনা কেউই দেখছেন না। কেননা তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এই অর্থ প্রদান করে কেন্দ্র না কোনও দয়া করছে না কোনও বাড়তি টাকা দিচ্ছে। কেননা এই টাকা বাংলার হকের টাকা। প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র আটকে রেখে দিয়েছে যা বাংলার প্রাপ্য। এখন ১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে কার্যত বাংলার মানুষের কাছে সাধু সাজতে চাইছে মোদি সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct