সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর ব্লকের আশুদে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বন্দনা দাসের অভিযোগ, তিনি শারীরিক অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরেই। আশুদে অঙ্গনারী কেন্দ্রে এবং বিএলওতে ডিউটি করছে , শারীরিক অসুস্থ থাকার সত্বেও তার ওপর অন্য আরেকটি অঙ্গনাওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্ব চাপাচ্ছেন স্থানীয় সুপারভাইজার এবং সিডিপিও। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারবেন না সেই কথা লিখিত আকারে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে সিডিপি এর সাথে দেখা করতে শুক্রবার কোতুলপুর সিডিপিও অফিসে যান। সেখানেই তিনি সিডিপিওর দ্বারা হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। তার অভিযোগ সিডিপিও তার কোন রকম কাগজপত্র না দেখে তাকে অফিস থেকে বাইরে যেতে বলেন এবং চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন। সেখানেই ওই আশা কর্মী এবং তার স্বামীর সাথে সিডিপিওর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনায় সিডিপি অফিসের বাইরে এসে ওই আশা কর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়েন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্স করে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই আশা কর্মীর অভিযোগ একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে অন্য আরেকজন সরকারি অফিসার কিভাবে তাকে হেনস্থা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। এমনকি শনিবার তিনি কোতুলপুর থানায় লিখিতভাবে জানাতে গেলে কোতুলপুর থানা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক লিখিত অভিযোগও নিতে অস্বীকার করেণ তিনিজানান বিষয়টি বিডিও সাহেবকে জানাতে । অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর স্বামী প্রতীত বন্ধু দাস বলেন, আমার স্ত্রী হেনস্তা শিকার হয়েছে অসুস্থ থাকার সত্বেও তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যদি আমার স্ত্রী চাকরিতে যেতে যেতে কোন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে তবে দায়ী থাকবেন সুপারভাইজার এবং সিডিপিও। কোতুলপুরের সিডিপিও জয়ব্রত কুন্ডু বলেন, কোন ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয়নি ওনাকে আগেই জানানো হয়েছিলো অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct