এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: জনসভার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার মাঝ পথে বিধায়কের গাড়ি আটকে জনসভা ভেস্তে দিল পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাড়োয়া-লাউহাটি রোডে ছড়াল তীব্র উত্তেজনা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী হাড়োয়ার খাড়ুবালা এলাকায় রবিবার আইএসএফের পক্ষ থেকে একটি বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। তার পাশেই আরও একটি জনসভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আইএসএফের জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলেন ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। সেইমতো ভাঙড় থেকে খাড়ুবালা এলাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। হাড়োয়া-লাউহাটি রোড ধরে বিধায়কের গাড়ি যখন কুলুপাড়া এলাকায় পৌঁছায় তখন পুলিশ বিধায়কের গাড়ি আটকে দেয়। পুলিশের দাবি আইএসএফের যে জনসভাটি হচ্ছে তার জন্য পুলিশের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশের অনুমতি না নেওয়ার জন্য ওই জনসভা কোনভাবেই করতে দেওয়া যাবে না কারণ তার পাশেই হচ্ছে তৃণমূলে জনসভা। একই দিনে ও একই সময়ে ভিন্ন দুটি রাজনৈতিক দলের জনসভা হলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই আইএসএফের জনসভা করা যাবে না এমনটাই অভিযোগ তুলে নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এই নিয়ে পুলিশ ও বিধায়ক-এর মধ্যে শুরু হয় বাগযুদ্ধ। কুলুপাড়া এলাকায় পুলিশ বিধায়কের বাকযুদ্ধে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাড়োয়া -লাউহাটি রোড। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর বাধ্য হয়ে ওই কুলুপাড়া মোড়ের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথসভা করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে তিনি বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন। এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁ পুলিশ মহকুমা আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘ওই এলাকায় তৃণমূল ও আইএসএফ-এর একই দিনে একই সময় দুটি জনসভা হচ্ছিল। আইএসএফের জনসভার কোন অনুমতি ছিল না। যদি একই সময় দুটো জনসভা হত তাহলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হতো সেই কারণেই যাদের অনুমতি রয়েছে তাদের সভা করতে দেওয়া হয়েছে। যাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি তাদের সভা করতে দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক বলেন, ‘তৃণমূল ও পুলিশ যৌথভাবে আমাদের সভা বন্ধ করেছে, আগামী দিনে এর প্রতিবাদে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct