সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: মুরারিপুকুরে রঙের কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। রবিবার সকালে ১১টা নাগাদ এই আগুন লাগে বলে জানান স্থানীয়রা। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চালান দমকল কর্মীরা।স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ আগুন নজরে আসে প্রথম। রঙের কারখানায় লাগা আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ওই কারখানার আশেপাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। তড়িঘড়ি দমকল বাহিনীকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কীভাবে রঙের কারখানায় আগুন লাগল? দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন, রঙের কারখানা হওয়ায় বহুতলের ভিতরে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক মজুত ছিল। যার ফলে কোনওভাবে আগুন লাগার পর সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। রঙে ব্যবহৃত রাসায়নিক দাহ্য বস্তু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। ওই রঙের কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে দাবি করছেন দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা।
অন্যদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই রঙের কারখানার পাশে থাকা একাধিক বাড়ি। আগুনের লেলিহান শিখা পুড়িয়ে দিয়েছে ঘরের দরজা, জানালা, ঘরের মধ্যে থাকা পোশাকও। এমনকি কারখানার পাশের একটি বাড়িতে রাখা গাড়িও আগুনের কবলে পড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, রঙের কারখানা হওয়ায় ওই বহুতল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াত, বিভিন্ন রাসায়নিকের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়তেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। দমকল সূত্রে খবর, মানিকতলার ১৬ নম্বর মুরারিপুকুর রোডে একটি রং তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর সকাল ১১ টা নাগাদ আগুন লাগে ওই কারখানায়। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য কেমিক্যাল মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি বাড়িতে। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন যায়। কারখানাটির ভেতরে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না বলেই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে একাধিকবার এই কারখানার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ পত্র পুলিশ প্রশাসন থেকে কলকাতা পৌরসংস্থায় কাছে জমা দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct