জন্ডিস ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি
ডাঃ প্রকাশ মল্লিক, এম.ডি (হোমিও)
জেনে নিন জন্ডিস সম্পর্কে
নিয়মের বাইরে যাঁরা চলেন, যেমন হাত না ধুয়ে বাইরের খাবার খাওয়া, অপরিস্রুত জল পান করা, স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপন-এসব ডেকে আনে পেটের অসুখ ও সংক্রমণের মতো নানা সমস্যা। সঙ্গে যে রোগটি চুপি টুপি শরীরের ঢোকে তারই নাম জন্ডিস। কীভাবে সতর্ক থাকবেন সেই বিষয়ে কিছু তথ্য রইল।
জন্ডিস কী?
রাক্তের বর্জ্য পদার্থ হল বিলিরুবিন। এটি একটি হলদেটে পদার্থ যা অতিরিক্ত জমলে ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায। এই অবস্থাকে বলে জন্ডিস। এটি একটি সাধারণ গ্যাস্ট্রেইন্টেস্টিনাল ও হেপাটোলজিক্যাল সমস্যা যা এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতি দ্বারাও অনেক সময় চিকিৎসা করা হয়।
জন্ডিসের উপসর্গগুলি কী এবং কেন হয়?
প্রস্রাবের রং হলদেটে বা ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। খিদে থাকে না এবং বমি ভাব সঙ্গে গা হাত পা চুলকানো এমনকী জ্বরের প্রকোপও লক্ষ্য করা যায়। ভাইরাস, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ভেষজ ওষুধের কারণে লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথবা বাইলভাক্টে টিউমার, স্টোনের কারণে ব্রকেজ হলে জন্ডিসের সূত্রপাত হয়। রক্তের লোহিত কণিকা থেকে হলদেটে কমলা রঙের একটি পদার্থ নিঃসৃত হয় যা অতিরিক্ত জমা হলে বিষাক্ত হয় যার ফল জন্ডিস।
এই অসুখের চিকিৎসা পদ্ধতি কী?
জন্ডিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রাথমিকভাবে কিছু রক্তপরীক্ষা এবং তলপেটের আন্ট্রাসাউন্ড করা হয়। তবে যে সব রোগীর শুধুমাত্র বাইলভাক্টে ব্রকেজ আছে তাদের ERCP করার প্রয়োজন সেই ব্রকেজ খোলার জন্য। তবে বেশিরভাগ রোগীকেই সঠিক শুশ্রুষার মাধ্যমে জন্ডিস মুক্ত করা সম্ভব। বসন্তকাল মানেই মনোরম আবহাওয়া। ঘুরতে যাওয়া এবং প্রচুর খাওয়াদাওয়া। তবে সাবধানের মার নেই তাসিতর্ক হলেই রোগমুক্ত থাকা সম্ভব। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে জন্ডিসের ভালো চিকিৎসা আছে। আমরা যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি সেগুলো হল- সোললিসো, বেলিডিয়াম, লাইকোপোডিয়াম, ফ্যাটোওটি, টিলিয়া ও বলডো ইত্যাদি। তবে কখনও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার আলোকে ওষুধের শক্তি নির্ধারণ করে থাকেন।যা চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct