নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এই বিচারপতি 'দেবদূত' এর মতো। আসন্ন টেট পরীক্ষায় কোন রকম বাঁধা হয়ে তিনি দাঁড়াবেন না,তবে গুরতর অভিযোগ এলে কড়া নির্দেশ দিতে তাঁর হাত কাঁপবে না।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে টেট সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি পর্বে এই কথা শোনালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিনও একাধিক নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এজলাসে কথোপকথনে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন - আসন্ন টেট পরীক্ষায় মামলা মোকদ্দমা হলে তাঁর ভূমিকার কথা। এদিন বিচারপতি জানান, -' তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। কিন্তু যদি দেখেন যে গুরুতর অভিযোগ আসছে, সেক্ষেত্রে তিনি অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবেন'। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতির কথায়,-' চাকরি দেওয়াটা জরুরি। তাই স্বচ্ছভাবে, নিরপেক্ষভাবে পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাক, এটাই আশা। এমনকি যদি কোনও অভিযোগও আসে তার বিচার চলতে পারে, কিন্তু প্রক্রিয়া বন্ধ করার পক্ষে তিনি নন। তবে কোনও গুরুতর অভিযোগ সামনে আসলে তা এড়ানো যাবে না'। এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদিনই টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। ২১৫ জনকে অবিলম্বে ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।গত ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্নের ভুল থাকা নিয়ে মামলা রুজু হয়েছিল। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ এসেছে। আবার ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটের সংরক্ষিত বিভাগের যারা ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে সেইসব অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct