সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: বাতিল হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সভা। অথচ সভার ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। বলেছিলেন, উৎসবের মরশুম কাটলেই মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা সভা করবেন তিনি। ইস্যু, মালবাজারে হড়পা বানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর সেই সভা হচ্ছে না। উল্লেখ্য, এর আগে ডাক দিয়েও একাধিক সভা বাতিল করেছিলেন এই নেতাই। ‘কালী বিতর্ক’-র সময় বিজেপি কালীপুজো করার ডাক দিয়েও পিছিয়েছিল। আবার বিজেপি’র দুর্গাপুজোও বন্ধ থাকছে পরের বছর থেকে। এই বছর পুজো হয়েছে নামমাত্র। প্রশ্ন, এই রাজ্যে বিজেপি কি তবে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে? শুভেন্দু কি গুরুত্ব পাচ্ছেন না?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালবাজারে নিহতদের বাড়ি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সভা থেকে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল আর্থিক অনুদান। দেওয়া হয়েছিল চাকরি। পাশাপাশি, উদ্ধারকারীদের হাতেও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। দেওয়া হয়েছে চাকরিও। এমনকি শিলিগুড়ি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ‘জবাব’ দিতেই পাল্টা সভা ডেকেছিলেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, জেলা বিজেপি নেতৃত্বই আর উৎসাহ দেখায়নি এই সভায়। বৃহস্পতিবার জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, এই সভা হচ্ছে না। শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। আজ দশমী। তাহলে কি এই জন্যই সভা বাতিল? তবে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, এখনই তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরের কোনও খবর নেই। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই বলছেন, ‘পরে কিছু হতে পারে। তখন জবাব’। আবার বিজেপির কেউ কেউ বলছেন, চূড়ান্ত ব্যস্ততার জন্য এখন হয়তো এই কর্মসূচিতে সময় দিতে পারেননি শুভেন্দু। প্রশ্ন, কোনটা ঠিক? উল্লেখ্য, সভা পেছানো হলে তা ঘোষণা করা হতো। মানে সভা বাতিল। তবে কি জমায়েত হবে না ভেবেই বাতিল করা হয়েছে সভা। না কি গুরুত্ব হারাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? উঠছে প্রশ্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct