সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিদের (অমুসলিম)দের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে গুজরাটে। তবে এই নাগরিকত্ব তো ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন। সিএএ নয়। আর বঙ্গ বিজেপি একেই বলছে, সিএএ’র প্রথম ধাপ। রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চেন্নাই সফরের আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তা নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।এদিন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই নীতির বিরোধিতা প্রথম থেকেই করে আসছেন তিনি। গুজরাট নির্বাচনের আগে রাজনীতি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। আরও বলেন, রাজনীতি করার চেয়ে মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি। সিএএ কার্যকর করার বিরোধিতাও করেন তিনি। প্রসঙ্গত, সিএএ হলে মতুয়া সম্প্রদায়ের কী লাভ হবে তা নিয়ে এখন থেকেই দ্বিধাবিভক্ত সমাজ। অন্যদিকে হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার প্রশ্ন তুলেছেন, যদি নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ মেনেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, তাহলে সিএএ কার্যকর করে কী লাভ? অন্যদিকে, চেন্নাই সফরের আগে গুজরাতের সেতু বিপর্যয় নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সুপ্রিমকোর্টের নজরদারিতে ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাঁর প্রশ্ন, এই নিয়ে কেন সিবিআই- ইডি তদন্ত করছে না? তাঁর দাবি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এদিন তিনি আরও বলেন, সেতু’র দায়িত্বে যারা ছিলেন, এই অপরাধ তাঁদের। তাড়াহুড়ো করে ব্রিজ খোলা ঠিক হয়নি। অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ বলে চালানো ঠিক নয়, বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গেও বলেন, এখন দোষারোপ বা রাজনীতির সময় নয়। এর চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct