আপনজন ডেস্ক: ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই ফাইনালের পর দুই দলের ম্যাচ মানেই যেন বাড়তি কিছু। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। ১৬৬ রান তাড়ায় ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা নিউজিল্যান্ডকে পার করিয়েছিলেন ৪৭ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ড্যারিল মিচেল। এবার সুপার টুয়েলভেই দেখা দুই দলের, তবে ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য কার্যত নকআউট। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের ফিফটিতে ১৭৯ রান তোলার পর ২৮ রানের মধ্যেই কিউইদের ২ উইকেট নিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ১৫ রানে জীবন পাওয়া গ্লেন ফিলিপস খেললেন ৩৬ বলে ৬২ রানের ইনিংস, কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে তুললেন ৯১ রান। বেন স্টোকস এসে ৪০ বলে ৪০ রান করা উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে ভাঙলেন সে জুটি, ডেথ ওভারে ইংল্যান্ড পেসাররা অবশ্য নিলেন নিয়মিত উইকেট, ফিল্ডিংয়েও ভুল হলো না আর। ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে টিকে থাকল ইংল্যান্ড, গ্রুপ ‘১’-এর লড়াই জমে উঠল আরও। একটি করে ম্যাচ বাকি থাকতে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া তিন দলেরই সমান ৫ পয়েন্ট এখন।
ব্রিসবেনের উইকেটে স্পিন ধরবে, বোঝা যাচ্ছিল আগেই। প্রথম ইনিংসেই মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি ৮ ওভারে দেন মাত্র ৪৮ রান। বাটলার তাই প্রথম ওভারেই আনেন অফ স্পিনার মঈনকে, তৃতীয় ওভারে আসেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু দেন ক্রিস ওকস, ডাউন দ্য লেগে কট বিহাইন্ড হন ডেভন কনওয়ে, বাটলার নেন ভালো ক্যাচ। পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় উইকেট হারায় পঞ্চম ওভারে। স্যাম কারেনের গতির বৈচিত্র্যে হার মানেন ফিন অ্যালেন, পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্টোকসের হাতে। প্রথম ৬ ওভারে ওঠে ৪০ রান। তবে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল নিউজিল্যান্ডই। দশম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারটি করতে আসেন আদিল রশিদ, সে ওভারে উইকেটটা পেয়েই গিয়েছিলেন। তবে গ্লেন ফিলিপসের তোলা সহজতম ক্যাচটি কাভারে অদ্ভুতভাবে ফেলে দেন মঈন আলী, বদলে যায় ম্যাচের চিত্রটাও। ফিলিপসের রান তখন ছিল ১৫, উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি ছিল ৩৭ রানের। ‘মোমেন্টাম’ কাজে লাগালেন ফিলিপসরা, ওই জুটি গেল ৯১ রান পর্যন্ত। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ফিলিপস ফিফটি পান মাত্র ২৫ বলে, ১৪তম ওভারে রশিদকে টানা দুটি ছক্কায় যেন বার্তাও দেন। তবে ইংল্যান্ডকে আশা জোগান বেন স্টোকস। আগের দুই ম্যাচে নতুন বল হাতে নেওয়া স্টোকস ১৫তম ওভারে নিজের প্রথমটি করতে এসে ফেরান কেইন উইলিয়ামসনকে, শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। পরের ৩ ওভারে ইংল্যান্ডের ৩ পেসারের বলে ক্যাচ দেন আরও ৩ নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান—মার্ক উডের বলে ডিপ মিড উইকেটে জিমি নিশাম, ক্রিস ওকসের বলে লং অনে ড্যারিল মিচেল, কারেনের বলে ফিলিপস। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, কারেন দেন মাত্র ৫। এর আগে টসে জিতে অনুমতিভাবেই ব্যাটিং নেন বাটলার। ক্রিকভিজের ডেটা অনুযায়ী, পাওয়ার প্লেতে প্রায় ৭৫ শতাংশ আক্রমণাত্মক শট খেলেন বাটলার ও আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস, প্রথম ৬ ওভারে ওঠে ৪৮ রান। অবশ্য শুরুতে বেশ আঁটসাঁট ছিলেন নিউজিল্যান্ড বোলাররা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct