আপনজন ডেস্ক: ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএলএসটি চাকুরীপ্রার্থীদের মঞ্চে হবু শিক্ষক, শিক্ষিকাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেখা গেল এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবার সংগঠনের হেল্থ কেয়ার সেক্টরের বেশ কিছু শিক্ষক,শিক্ষিকাদের। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বৃত্তিমূলক বিষয়ে এনএসকিউএফ শিক্ষকেরা শিক্ষাদান করে থাকেন। তাদের অভিযোগ স্থায়ী বিষয় হওয়া সত্ত্বেও অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এই শিক্ষক, শিক্ষিকাদের। মূলত হেল্থ কেয়ার,ইনফরমেশন টেকনোলজি,কন্সট্রাকশন,অটোমোটিভ,টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি, বিউটি এন্ড ওয়েলনেস প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করে থাকেন। ২০১৩ সাল থেকে বিষয়টি স্কুল এডুকেশনের দ্বারা পরিচালিত হলেও কারিগরি দপ্তরের হাতে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়। কারিগরি দপ্তর বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা দিয়ে এধরনের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দায়িত্বভার দিয়ে দেয় বেসরকারি সংস্থার হাতে। এদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সকল চাকুরিপ্রার্থী ও মাতঙ্গিনী হাজরার নীচে সকল চাকুরীপ্রার্থীদের রক্তচাপ, রক্তের সুগার ও বিভিন্ন পরীক্ষা করা হল এবং ঔষধ বিতরণ করা হলো। প্রায় ৩০০ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এদিন সবার হাতে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হল এবং ধর্না মঞ্চে হবু শিক্ষিকাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হল। ধর্না মঞ্চে স্যানিটারি প্যাড ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা হল। পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য সম্পাদক বলেন, যারা চাকুরি চুরি করে তাদের জন্য মেডিক্যাল টিম গঠন হয়, অথচ হকের চাকরি পেতে খোলা আকাশের নীচে ৫৯৬ দিন বিনা চিকিৎসায় বসে থাকতে হয়, এটা রাজ্যের লজ্জা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct