আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে সেতু ভেঙে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। গুজরাতের মরবি জেলার মাছু নদীর উপর থাকা একটি ঝুলন্ত সেতু ছিঁড়ে নদীতে পড়েছেন কয়েক শত মানুষ। এ ঘটনায় অন্তত ৬০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ধসে পড়ার সময় সেতুটিতে আনুমানিক ৫০০ মানুষ ছিলেন। ছটপূজা উপলক্ষে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সেতুটিতে জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় ঝুলন্ত সেতুটি হঠাৎ ছিঁড়ে পড়ে। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে অনেকেই সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করছেন। সন্ধ্যার পর অন্ধকার নেমে আসায় তীরে আসতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁদের। কেউ কেউ নদীর মাঝে ভেঙে ঝুলতে থাকা সেতুর অংশ ধরে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন।
এ ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী গুজরাতেই ছিলেন। সেতু ছিঁড়ে পড়ার পর জরুরি কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে অংশ নেন স্থানীয় লোকজনও। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেলকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল মরবির উদ্দেশে যাত্রা করেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগাভি। সেতু দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রাজ্য সরকারও হতাহত ব্যক্তিদের জন্য অর্থসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। সহায়তা হিসেবে নিহত প্রত্যেকের পরিবার ৪ লাখ টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবার ৫০ হাজার টাকা করে পাবে। ঐতিহাসিক মরবি সেতুটি অনেক বছরের পুরোনো। সেতুটি মেরামতের পর চার দিন আগে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। গুজরাত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ব্রিজেশ মৌর্য বলেছেন, ‘মেরামতের পর সপ্তাহ পার হতে না হতেই সেতু ছিঁড়ে মৃত্যুর ঘটনায় আমরা শোকাহত। আমরা এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। সরকার দুঃখজনক এ ঘটনার দায়ভার নিচ্ছে।’ এই ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct