সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: ডেঙ্গু রুখতে রাজ্যের সমস্ত জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিশেষভাবে নজরদারির নির্দেশ দিল নবান্ন। একইসঙ্গে কলকাতায় বাড়িতে বাড়িতে নজরদারি বাড়াতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিলেজ রিসার্চ পার্সনদের আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে বলেও নির্দেশ নবান্নের। রাজ্যে ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সূত্রের খবর, শনিবার বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, এই ৭ জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। এদিন বৈঠকে জেলাশাসক এবং সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা পৌরসভার কমিশনারও। সূত্রের খবর, পৌরসভার কমিশনারের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, কলকাতায় বাড়িতে বাড়িতে নজরদারি বাড়াতে হবে। অনেক জায়গায় অবহেলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। কলকাতায় একাধিক বরোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অত্যাধিক বেশি৷ ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভাও৷ পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে, এলাকা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে, সে দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত রাজ্যে একের পর এক ব্যক্তির ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। শনিবার ভোরে কলকাতা পুলিশের এক কর্মী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত কর্মী কলকাতা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। উৎপল নস্কর নামের ওই কর্মী জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫৪ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মীর শনিবার ভোরে মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের একাধিক কর্মী বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা আশঙ্কা করছেন, আগামী দু’মাসে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও কয়েক গুণ বাড়বে। সেই আবহে নবান্নের এই নির্দেশ গুরুত্বপূর্ণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct