নাজিম আক্তার, চাঁচল, আপনজন: তৃণমূল নেতার ইটভাটা জোরপূর্বক ভাবে দখলের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে ইটভাটার মালিককে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা ও ইটভাটার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধানের স্বামীর পাল্টা দাবি,ওরাই শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করছিল।কাকাকে বাঁচাতে গিয়েই আমাদের উপর চড়াও হয়। শুক্রবার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের চাঁচলের বিরস্থলীতে। জানা যায়,চাঁচলের ৮১ নং জাতীয় সড়কের ধারে বিরস্থলী এলাকায় রয়েছে ইটভাটা। সেই ইটভাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে।অভিযোগ,এদিন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মোক্তার হোসেন দলবল নিয়ে হামলা চালায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ইটভাটা মালিকের উপর।বাধা দেওয়ায় ইটভাটার মালিক ও তার দাদাকে মারধর করা হয় এবং হাসুয়া দিয়ে কোপানো হয় ইটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেনকে বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় চাঁচল থানায় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মুক্তার হোসেন সহ মোট আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ইটভাটার মালিক আনোয়ার হোসেন।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠাও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মোক্তার হোসেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ঘটনা। এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। অভিযোগকারীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে। আমরা এ নিয়ে পাল্টা চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।মোক্তার হোসেন আরো বলেন,ইটভাটা টি আমার কাকা ইমদাদ হোসেনের।যারা ভাটা নিজেদের দাবি করছে,তারাই গন্ডোগোল করেছে।ইমদাদ কাকাকে ওরা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে প্রানে মারার চেষ্টা করছিল। বাঁচাতে গিয়েই তারা দলবল নিয়ে চড়াও হয়।আমার গলায় আঘাত করেছে ওরা। যদিও এই ঘটনার সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের। চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সেখ আফসার আলী বলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।এর সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct