সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের স্নেহের পাত্র কানন। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এ নামেই ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই জলশোভন কত বকাও খেয়েছেন দিদি’র কাছে। পেয়েছেন প্রশ্রয়ও। মাঝে কয়েকদিন চলেছিল মান-অভিমান পালা। তারপরে কাননের ‘গেরুয়া’ মোহ কেটেছে দীর্ঘদিন। গত ২২ জুন তিনি ছুটে গিয়েছিলেন দিদির কাছে। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু বৈশাখী। ভাইফোঁটায় আবারও তিনি ছুটে গেলেন দিদির কাছে।একসময় দিদি’র বাড়িতে ভাইফোঁটা মানেই উপস্থিত থাকবেন শোভন, চল ছিল এমনটাই। তারপর বেড়েছিল দূরত্ব। ২০১৯ সালে ফের প্রিয় দিদির কাছে ফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন আদরের কানন। গত ২০২০ সালে সেই ছবি দেখা যায়নি। তবে গত বছর দেখা গিয়েছিল এই চিত্রটা। আবারও চমক ২০২২ সালে। কানন ভাইফোঁটা নিতে এলেন দিদির কাছে। দিদিও পরম যত্নে দিলেন ফোঁটা। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ দিদির বাড়িতে গিয়ে ফোঁটা নেন ভাই। এদিন বৈশাখী বলেন, ‘দিদির আশীর্বাদ বড় প্রাপ্তি’। আরও বলেন, দিদি ও ভাইয়ের সম্পর্ক অটুট। উল্লেখ্য, গত ২২ জুন মমতা- শোভন সাক্ষাতের পরে গুঞ্জন উঠেছিল শোভন ফিরছেন তৃণমূলে। এইদিন আরও গাঢ় হল সেই গুঞ্জন। এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, ‘তৃণমূলে ফেরার জন্য আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। কিছু ভুল বোঝাবুঝির মেঘ জমে ছিল। সেই মেঘ কেটে গিয়েছে’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct