আপনজন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে । ঘূর্ণিঝড়টির সোমবার সন্ধা ৬টায় ও মূল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূলে আঘাত করে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ভোলার ওপর দিয়ে চলে যায়। সিত্রাংয়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে এবং দেওয়াল ধসে বাংলাদেশের পাঁচ জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কুমিল্লায় এক পরিবারের তিনজন, ভোলা ও সিরাজগঞ্জে দুজন করে এবং নড়াইল, বরগুনা ও ঢাকায় একজন করে মারা গেছেন ঝড়ের মধ্যে। ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উপকুলীয় জেলায় ঝড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ শুরু হয়।সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এর মধ্যে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন, নড়াইলের লোহাগড়া এবং বরগুনা সদর উপজেলায় গাছ ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়।কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে প্রাণ যায় এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর।সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।ঢাকার হাজারীবাগে দেওয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct