মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সরভাজা, সরপুরিয়া,খিরসাগর ও নিখোদি সহ বিভিন্ন মিষ্টি। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। গোটা দেশ ছুড়ে পালিত হবে ভাই ফোঁটাঅ আর ভাই ফোঁটা মানেই বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির সমাহার। সেই নানাবিধ মিষ্টির তার আগেই মিষ্টির দোকানে সাজিয়ে রেখেছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি।জেলার বিভিন্ন এলাকার মিষ্টি দোকান ভাই ফোঁটা আগে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করে ব্যস্ত কারিগররা।আগে মিষ্টির দোকানগুলোতে কমবেশি ভিড় জমছিল।করোনা আবহে কাটিয়ে উপচে পড়া ভিড় মিষ্টির দোকান।কারণটাও সবার জানা। ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে যেসব সন্দেশ বা রসের মিষ্টির পশরায় মিষ্টির দোকানগুলো সেজে ওঠে তা সাজানো হয় বিকেলে। ভাইফোঁটায় নদীয়া জেলার বিখ্যাত সরপুঁটি,পর ভাজা সহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির স্টল থাকে বিকেল নামতেই শহরের থেকে গ্রাম ছোট বড় সব মিষ্টির দোকানেই একে একে ভিড় জমাতে থাকেন ক্রেতারা। বলা ভাল বোনেরা। ভাইয়ের পছন্দের মিষ্টি খুঁজে কেনাটাও তাঁদের কাছে একটা উৎসবের আনন্দ হয়ে ওঠে।ভাইফোঁটা কিন্তু তার আগের দিন বিকেল থেকেই শহরের বিভিন্ন কোণার মিষ্টির দোকানগুলোয় ভিড়ের উপচে পড়ার মিষ্টির দোকানগুলোয়। যত সূর্য পাটে গেছে ততই বাহারি মিষ্টির ট্রে বেড়েছে দোকানে দোকানে। সেই সঙ্গে চড়েছে কেনাকাটার পারদ। ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন নতুন মিষ্টি জায়গা পায়। ফলে যে দোকানে সারা বছর মিষ্টি কেনার সময় বিশেষ কোনও মিষ্টির দেখা মেলেনা। ভাইফোঁটার আগের দিন সেই মিষ্টিই নজর কাড়ে। মানে যাকে বলে ভাইফোঁটা স্পেশাল। এখন আবার ফিউশন মিষ্টির যুগে অভিনবত্ব আরও বেড়েছে। থেকে দোকানের সব কর্মচারিদের পুরোদমে ক্রেতাদের ফরমাস শুনেও কুলিয়ে উঠতে পারেননি। তবু এই মিষ্টি কোনার ঐতিহ্য আজও অমলিন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভাইফোঁটায় মিষ্টির দোকানে বোনেদের হুড়োহুড়ি বাঙালির আদি ঐতিহ্যেরই ধারক এবং বাহক হয়ে থেকে যায়। নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের চাপড়া, নাকাশিপড়া,ধুবলিয়া সহ বিভিন্ন ব্লকে মিষ্টির দোকানে মানুষের ভিড় জমিয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির কিনতে ব্যস্ত।গত কয়েক বছরে লকডাউনে ফলে মিষ্টির দোকানে ভিড় দেখা যায়নি এবছরের কিছু টা হলো লাভের আশা দেখবে মিষ্টি দোকানদাররা। ভাইফোঁটার আগেই বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে রেখেছে মিষ্টির ব্যবসায়ীরা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন পরেই পালিত হবে ভাই ফোঁটা ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা জমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দিয় আমার ভাইকে ফোঁটা। প্রত্যেক বছর এই দিনটিকে বিশেষভাবে সকল হিন্দু বোনেরা তাদের ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ভাইয়ের বাড়িতে এসে ফোটা দিয়ে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct