এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: সিত্রাং এর প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঝড় হওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি। এই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রত্যন্ত সুন্দরবন সন্দেশখালি, মিনাখা হাসনাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। একদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল অপরদিকে ঝড় হওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির ফলে সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে সন্দেশখালীর রায়মঙ্গল, ছোট কলাগাছি, বড়োকলাগাছী সহ বিভিন্ন নদী। এই সমস্ত নদীর তীরবর্তী এলাকায় আতাপুর, মনিপুর ,খুলনা সহ বিভিন্ন নদীমাতৃক এলাকাগুলো থেকে সাধারণ মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে আসেন সন্দেশখালি ২ নম্বরে ব্লকের বিডিও অর্ণব মুখার্জি, আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা সন্দেশখালি তৃণমূলের কনভেনার শেখ শাহজাহান, জেলা পরিষদের সদস্য শিবুপ্রসাদ হাজরা,যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আলোমগীর সেখ সহ আরো অনেকে। এদিন তৃণমূল কনভেনার শেখ শাহজাহান বলেন, আমরা এর আগে বিভিন্ন ঝড় দেখেছি বিশেষ করে আমফানের মতো ঝড়কে মোকাবেলা করেছি, আমরা তৈরি আছি প্রশাসন তৈরি আছে। নিচে যারা বসবাস করে তাদের বিশেষ স্থানের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন, কংক্রিটের বাঁধ না হলে মানুষকে বাঁচানো যাবেনা। ঝড় আসলেই প্লাবিত হয়ে পড়ে সন্দেশখালের বিভিন্ন এলাকা। কংক্রিটের বাঁধ হলে এই এলাকাগুলো সংরক্ষণ হবে। শীতকালীন সময়ে বাঁধগুলো কংক্রিটের করার আবেদন রাখলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় মানুষের জন্য সজাগ রয়েছেন আমার সঙ্গে কথা হয়েছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও মন্ত্রী পার্থভূমিকে সঙ্গে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। অন্যদিকে টাকি পৌরসভা ও বসিরহাট পৌরসভার পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জাতে সাথে সাথে মানুষের পরিষেবা দেওয়া যায়। এদিন টাকি-ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী বলেন, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব ব্যবস্থাই করা রয়েছে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct