মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: শীত পড়ার মুখে বিভিন্ন রাজ্যে থেকে কৃষ্ণনগর শহর সহ বিভিন্ন ব্লকে রাস্তার ধার দিয়ে সারি সারি কম্বল বিক্রির জন্য। গত দু’বছর করোনা অতিমারিতে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা এই রাজ্যে ব্যবসা করতে আসেনি। লকডাউনে ফলে গোটা দেশজুড়ে করোনা অতি মারিতে দোকানপাট বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহর, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কালিগঞ্জ সহ বিভিন্ন ব্লকে জনমুখী এলাকাগুলিতে কম্বল সাজিয়ে বসে আছেন ভিন রাজ্যের কম্বল ব্যবসায়ীরা। উত্তরপ্রদেশ থেকে এক-কম্বল ব্যবসায়ী কৃষ্ণনগর শহরে কম্বল নিয়ে আসা সাদিক আহমেদ খান জানান, প্রত্যেক বছরই বাংলায় আমরা কম্বল বিক্রয় করতে আসি গাড়িতে করে একেবারে কম্বল নিয়ে বিভিন্ন এলাকার বাজার এলাকায় কেজিরদার কম্বল বিক্রয় করি। গত বছর ধরে আমার করোনা মধ্যে আসিনি। প্রত্যেক বছরে আমরা প্রচুর পরিমাণে কম্বল বিক্রয় করি। বিগত কয়েক বছর ধরে তুলোর লেপ আর দেখা যায় না গ্রাম বাংলাতেও সাধারণত মানুষের ভিতরে কম্বলের চাহিদাটা বেড়েছে। একটি লেপ তৈরি করতে গেলে যে পরিমাণের খরচ হয় তার থেকে অল্প টাকার ভিতরে কম্বল হয়ে যায়।যে কারণে মানুষের ভিতরে এখন চাহিদা কম্বলের যদিও এই কম্বলগুলি কেজি হিসাবে বিক্রি হয়। ভালো কম্বল গুলি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রয় হচ্ছে। চাপড়া বিডিও অফিসে কাছে এক কম্বল বিক্রেতা আরশাদ জানান, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে কম্বল নিয়ে আসি বিক্রির জন্য। ঘর ভারা করে থাকি চাপড়া বাজারে কাছে। অন্যদিকে কাশ্মীর থেকে শীতের পোশাক নিয়ে হাজির নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে কম্বল, সাল ও শীতের পোশাক চাপড়া পোস্ট অফিস মোড়ের কাছে দোকান নিয়ে বসেছে প্রত্যেক বছরে কাশ্মীর থেকে গোলাম হোসেন সারলে হাজির হয় শীতের সময় গোলাম জানান ছয় মাস ধরে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাতে ব্যবসা করতে আসি যে পরিমাণের মারলে আমরা এখানে আসি তার বিক্রয় হয়ে গেলে আমরা এখান থেকে আবার আমাদের নিজের রাজ্যে ফিরে যায়। সব মিলে শীত পড়তে শীতের পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে এখন থেকেই মানুষ কম্বল এবং শীতের পোশাক কিনতে রাস্তায় দেখা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct