আপনজন ডেস্ক: যেকোনো মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা শুরু হতেই ফেবারিট খুঁজতে নেমে পড়েন সবাই। ‘জ্যোতিষী’র কাজটা সাধারণত সাবেকেরাই বেশি করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এর ব্যতিক্রম নয়। শচীন টেন্ডুলকার যেমন আসল লড়াই শুরুর আগেই জানিয়ে দিলেন, কোন চার দল খেলবে সেমিফাইনাল। ‘আসল লড়াই’ বলতে সুপার টুয়েলভ পর্বকেই বোঝানো হচ্ছে। তবে এবারের বিশ্বকাপ প্রথম পর্বেই জমে ক্ষীর! নামিবিয়ার কাছে এশিয়ার সেরা শ্রীলঙ্কা কিংবা স্কটল্যান্ডের কাছে রেকর্ড দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাকানিচুবানি খাবে, হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি অনেকে। চমকই বলুন কিংবা অঘটন—ওই দুই ম্যাচের পর নড়েচড়ে বসেছেন অনেকে। বুঝতে শুরু করেছেন, খেলার দৈর্ঘ্য ছোট হলেও কোনো দলই ছোট নয়। তবে টেন্ডুলকার মনে করেন, প্রথম রাউন্ডে খেলা কোনো দল সেমিফাইনালে যেতে পারবে না। তাঁর বিশ্বাস, নিজ দেশ ভারতের সঙ্গে শেষ চারে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস্টারকে ৪৯ বছর বয়সী কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আমার শীর্ষ চার দল হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।’
২০০৭ সালে উদ্বোধনী আসরেই বাজিমাত করেছিল ভারত। মহেন্দ্র ধোনির নেতৃত্বে অপেক্ষাকৃত তরুণ দলটাই শিরোপা জিতে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। সেই সাফল্যের সুবাদে আবিষ্কার করা হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। অর্থের ঝনঝনানি আর চাকচিক্যে ভরা টুর্নামেন্ট দেড় দশকে ক্রিকেটারদের স্নায়ুর চরম পরীক্ষা নিয়েছে। ভারতও পেয়ে গেছে বেশ কজন টি–টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ। কিন্তু রুপালি ট্রফিটা আর ছুঁয়ে দেখা হয়নি। তবে টেন্ডুলকার চান এবার ১৫ বছরের আক্ষেপ ঘোচাবেন তাঁর উত্তরসূরিরা, ‘চ্যাম্পিয়ন! অবশ্যই চাই ভারত চ্যাম্পিয়ন হোক।’ ধোনি-যুগ শেষে বিরাট কোহলি-অধ্যায়টাও পার করে ফেলেছে ভারত। এখন রোহিত শর্মার জামানা। আইপিএল ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ১৪০ কোটি ভারতীয়কে আরেকবার গর্বের উপলক্ষ এনে দিতে পারবেন কি না, সময় বলে দেবে। তবে চোটে ছিটকে পড়া দুই ‘তুরুপের তাস’ জশপ্রীত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজাকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে কাজটা যে মোটেও সহজ হবে না, ভালো করেই জানা টেন্ডুলকারের। সে কারণে নিউজিল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ‘নিউজিল্যান্ড ডার্ক হর্স, দক্ষিণ আফ্রিকাও। কারণ, তারা এই কন্ডিশন সম্পর্কে জানে। তা ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের কন্ডিশন একই রকম থাকে। পিচগুলোও গড়পড়তা মনে হচ্ছে। ওরা পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে গুটি গুটি পায়ে সটকে পড়তে পারে (ম্যাচ বের করে আনতে পারে)।’ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু হচ্ছে শনিবার। মেলবোর্নে পরদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct