সুব্রতরায়, কলকাতা, আপনজন: আন্দোলনকারীদের আদালতে যাওয়ার বার্তাদিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । করুণাময়ীর সামনে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ছুঁতে যাচ্ছে প্রায় ৬০ ঘণ্টা। তাঁদের দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। তবে এই দাবি মানতে নারাজ পর্ষদ। নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় পর্ষদ। এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।বুধবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের যদি মনে হয় পর্ষদ অনৈতিক কিছু করছেন তবে তাঁরা আদালতে যান। পাশাপাশি আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে একদল। মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার চায় নিয়োগ করতে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হলে ইন্টারভিউ দিতেই হবে। এই সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। আবেদন ছিল দ্রুত শুনানির। তবে এই দিন শুনানি হয়নি। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁরা ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড প্রার্থী। ইতিমধ্যেই তাঁরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এবার তাঁর ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। দাবি, সরাসরি নিয়োগের। গত মঙ্গলবার পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছিলেন, এঁরা কেউ প্যানেল ভুক্ত নয়। তাঁর আবেদন, চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকারীরা সামিল হোক। সেই সঙ্গে পর্ষদ সভাপতির অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আন্দোলনকারীদের দাবি, দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও হয়নি নিয়োগ। এবার ইন্টারভিউ ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ চাই। তবে সেই দাবি আইনসম্মত নয় বলে দাবি পর্ষদের। ওই দিন পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১২,২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা আবেদন জানাতে পারবেন। আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বৃদ্ধির। তবে পর্ষদ সভাপতি ওই দিন বলেছিলেন, বয়সসীমা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা পর্ষদের নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct