বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার, আপনজন: ভরসন্ধেয় হুগলি নদীতে তলিয়ে গিয়েছিল দুই নাবালক বোন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে। দু’জনকে উদ্ধার করতে হুগলি নদীতে চালানো হয়েছিল তল্লাশি। ঘটনাস্থলে ছিল ডায়মন্ড হারবারের এসডিও, পুলিশ প্রশাসন। প্রায় ৪০ ঘণ্টার পর এসডিপিও মিতুন কুমার দের তত্ত্বাবধানে হুগলি নদী হলদিয়া সংলগ্ন এলাকায় ৪০০মিটার দূরে নিখোঁজ দুই বোনকে ভাসতে দেখা যায়। তখন মৃত দুই বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ডায়মন্ড হারবারে, তার পর তাদের কে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।জানা যায় তপসিয়ার পঞ্চানন তলার বাসিন্দা জাকির হোসেন। তাঁর দুই কন্যা আতিফা পারভিন (৬) ও সিতারা নাজ (৮)। দুই মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বার হয়ে ছিলেন জাকির হোসেন। রবিবার সন্ধেয় পূর্ব মেদনিপুর কুঁকড়াহাটি থেকে ভেসেলে ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা মোট ১০ জন ছিলেন। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ ভেসেল পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে। ওই ভেসেলটি যেখানে নোঙর করা হয় তার সামনে রাখা ছিল আরেকটি ভেসেল, তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দুটি ভেসেলের মাঝে ফাঁক ছিল। কপালকুণ্ডলা নামের ভেসেল ডায়মন্ড হারবার যেটি ঘাটে ফিরতেই ভেসেলের সকল যাত্রীরা জেটি থেকে নামতে শুরু করেন। কিন্তু নামার সময় তা খেয়াল করেনি ওই দুই বোন। ফলে ফাঁক দিয়ে গলে হুগলি নদীতে পড়ে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় আতিফা ও সিতারা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই জেটি ঘাটে পৌঁছয় পুলিশ, পুরসভার আধিকারিকরা। খবর দেওয়া হয় কুইক রেসপন্স টিম, সিভিল ডিফেন্সকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় খোদ ডায়মন্ড হারবার এসডিও অঞ্জন ঘোষ। প্রায় ৪০ ঘণ্টা হুগলি নদীতে তল্লাশি চালানোর পর হুগলি নদী হলদিয়া সংলগ্ন এলাকা থেকে মৃত দুই বোনের হদিশ মেলে। ডায়মন্ড হারবার যেটি ঘাটে অপেক্ষায় ছিলেন নিখোঁজ দুই শিশু কন্যার পরিবার। এদিকে মৃত দুই শিশুকন্যা ডায়মন্ড হারবার এসে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct