মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদীয়া জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাপড়া ব্লকে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে অন্যতম পথ হিসাবে লটারির উপরই ভরসা করছেন অনেকে যুবক। কিন্তু কেউ-কেউ কোটিপতি হলেও অধিকাংশই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। বর্তমানে সময়ে নদীয়া জেলার চাপড়া,নাকাশিপড়া, কালিগঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন গ্রামের অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে লটারির টিকিটের দোকান দিয়ে সবে রয়ছে। লটারি বিক্রি করে অনেক বেকার যুবক স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সেই লটারির নেশায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকে পরিবারের। বিভিন্ন লটারি বিক্রেতারা ধর্মঘট ডেকেছিল বেশ কয়েকদিন ধরে বিগত দিনে তাদের যে পরিমাণ কমিশন দেয়া হতো তার থেকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানি তার জন্যই অনির্দিষ্টকালের জন্য লটারি বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছিল। লটারি খেলা হয়ে উঠেছে নেশা। আর সেই নেশায় বিভোর হয়ে পড়ছে ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সি মানুষেরা। লটারি কেটে অনেকেই তাদের আগামীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু নিজের অজান্তেই কোটিপতি হওয়ার লোভে অনেকেই সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।চাপড়া এক লটারি বিক্রেতা শ্রাবণ বিশ্বাস জানায় আমি অনেক কয়েক বছর ধরে লটারি টিকিট বিক্রয় ব্যবসা করছি। ব্যবসা করতে করতে নিজেও টিকিট কাঠি বর্তমানে সর্বস্বান্ত বিভিন্ন গোষ্ঠীর দল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারিনি। ঋণ পরিশোধ করার জন্য বর্তমানে আমি ভিম জেলাতে পরিবার চালানোর জন্য লেবারের কাজ করছি। কয়েকজন মোটা অংকের পুরস্কার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনা লটারির নেশায় নিজের গচ্ছিত টাকা সহ পুরস্কারের টাকাও শেষ হয়ে যায়।পরিবারের লোকজনের সঙ্গে লাগাতার অশান্তি লেগেই থাকে শুধুমাত্র এই লটারি নেশার জন।তার মধ্যে কারওর কোনদিন কপাল খুললেও অধিকাংশেরই কপালে জোটে না পুরস্কার অথবা খুবই সামান্য টাকা।তবু লটারির নেশা থেকে বেরোতে পারেন না কেউ। বছর ষাটের যুগল চন্দ্র ভক্ত জানান দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে লটারি টিকিট কাটছি ছোটখাটো পুরস্কার পেয়েছি বড় ধরনের কিছু পুরস্কার এখনো পর্যন্ত পাইনি যে টাকা পেয়েছি তার দ্বিগুণ টাকার লটারি টিকিট কেটেছে। বর্তমান পুরস্কার না হওয়ায় দুশ্চিন্তায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct