আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি মুসলিম মেয়েদের বিয়ে নিয়ে একটি মামলায় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছিল, মুসলিম মেয়ের বিয়ের বিষয়টি অল ইনিড্য়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী হয়। যেহেতু ইসলামে মুসলিম মেয়েদের বয়ঃসন্ধি হলেই তারা বিয়ের যোগ্য। তাই কোনও মুসলিম মেয়ে ১৫ বছর বয়সে বয়ঃসন্ধি হলেও সে নিজের পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করতে পারে। মুসলিম পার্সোনাল ল’র অধীনে মুসলিম তরুণীদের এই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামালা করে, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনরে হয়ে আইনজীবী স্বরূপমা চতু্র্বেদীর মাধ্যমে সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। তাকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের হয়ে বলা হয়, দেশের বৈবাহিক আইন অনুযায়ী ভারতীয় মহিলাদের বিয়ের জন্য বৈধ বয়স ১৮ বছর। বাল্যবিবাহ বিরোধী আইনে ১৮ বছরের নীচে কোনও মেয়ের বিবাহকে অবৈধ ও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিকে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, সম্মতি থাকলেও ১৮ বছরের নীচে কোনও তরুণ-তরুণীর যৌন সংসর্গে লিপ্ত হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু ১৩ জুন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রায়ে মুসলিম মেয়েদের বয়স ১৮ বছর না হলেও বয়ঃসন্ধি হলেই বিয়ে বৈধ বলায় তা নিয়ে আপত্তি হয় xgd ও্নই মামলায় নিজেদের জীবনের সুরক্ষা ও পরিবারের থেকে স্বাধীনতা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল এক মুসলিম দম্পতি। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ পুরুষের বয়স ছিল ২১ এবং মহিলার বয়স ১৬ বছর। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সেই মামলায় বলেছিল মুসলিম পার্সনাল ল’ অনুযায়ী, যেহেতু সেই তরুণী বয়ঃসন্ধি পার করেছে, তাই অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার রয়েছে তার। তাই কোনও নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই সেই দম্পতির। তাই জাতীয় সুরক্ষা কমিশন সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকা-র ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় সাহায্য করার জন্য আদালত বন্ধু হিসেবে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আর রাজশেখর রাওকে নিযুক্ত করেছে। আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলায় শুনানি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct