নিজস্ব প্রতিনিধি, মালবাজার, আপনজন: আগে থেকে ঠিক ছিল না তবে সোমবার বিকেলে উত্তরবঙ্গে পা রেখেই মাল বাজারে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ।মালবাজারের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌম্য অধিকারী ও তপন অধিকারীর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সজনহারা পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছন মালবাজারের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকারীদের বাড়িতে। তাকে চা দিয়ে আপ্যায়ন করেন পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি যান পার্শ্ববর্তী শুভাশিস লাহার বাড়িতে। শুভাশিসবাবু দশমীর দিন নিরঞ্জনে গিয়ে হড়পা বানে ডুবে মারা গিয়েছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যান বিভা পন্ডিতের বাড়িতে । তার ছোট ছেলের মাথায় হাত রেখে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভা রয়েছে । সেই সভাতে নিহত পরিবারের সদস্যদের উপস্থিত থাকতে বলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ৫ই অক্টোবর দশমীর রাতে দুর্গাপুজোর নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে তলিয়ে মৃত্যু হয় আটজনের। ওই দুর্ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে আছে ওই এলাকায়। সেই সময় সরকারের তরফে স্বজন হারা পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজে সোমবার নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। সোমবার বিকেলে মালবাজারে পৌঁছে তার তেশিমলাতে রাত্রি বাস করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকা গাড়ির কনভয় ঘুরিয়ে তিনি নিহতদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অধিকারী ও লাহাবাড়ি ঘুরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, মালে দুর্ঘটনা গ্রস্ত পরিবারগুলিকে আগামীকাল প্রশাসনিক সভায় সবাইকে আসতে বলেছি ।তার আগে আমি নিজে এসে দেখা করে গেলাম। ওই বিপদের সময় যারা খুব কাজ করেছেন, বিশেষত ওই ছেলেটি যে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে, তাকে আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এভাবে বিপদে সবাই সকলের পাশে থাকলে, অনেক কিছু সহজে অতিক্রম করা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct