সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন । গত শনিবার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জানা গিয়েছে ওই বৈঠক থেকেই বেশ কয়েকটি জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি সহ বেশ কিছু জেলার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নবান্ন। এই সব অঞ্চলে সংক্রমণ কেন বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সংক্রমণের হার রোধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার।উল্লেখ্য, আগামী সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে। বৈঠক থেকে দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ গাইডলাইন। কড়া নির্দেশ, জল যেন কোথাও জমা না থাকে। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হাজারের বেশি রোগী। মহকুমা স্তরের হাসপাতালে ১০১৪ জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে জেলাস্তরগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ছোট শহর, মফঃস্বল – গ্রামাঞ্চলে গুরুতর অসুস্থের সংখ্যা বাড়ছে বলেই রোগীভর্তির চিত্রটা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। ডেঙ্গুর এই বাড়াবাড়ির কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছিলেন, ‘মুশকিল হল, মানুষ অনেক দেরিতে টেস্ট করাচ্ছেন। জ্বর আসলে স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন অনেকে। এক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চিকিৎসাতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে থেকে ওষুধ কিনে খাবার প্রবণতা গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি’। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ জেলাগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্য সবচেয়ে বেশি। দেশ থেকে করোনা বিদায় নিলেও ডেঙ্গুর সমস্যায় ক্রমশ জর্জরিত হয়ে পড়ছে রাজ্যবাসী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct