মনিরুজ্জামান, বারাসাত, আপনজন: সাধারণ মানুষের জন্য কাজের মধ্যে দিয়েই দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞে শামিল হন জনপ্রতিনিধি তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্হায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ। তাঁর এই কর্মযজ্ঞ চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। বিরামহীন ভাবে।শু ক্রবার এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল একদল সাধারণ মানুষ। শঙ্কর রায় নামে একজন ব্যক্তি দাবি করেন একেএম ফারহাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট কাজের জন্য এসে কখনও কেউ ফিরে যাননি। এলাকার মানুষের দাবি মতো কিছু জরুরি কাজ নিয়ে তাঁর কাছে এলে তিনি সেই কাজ অতিসত্বর সমাধান করে দেন। শঙ্করবাবু বলেন, কোনও মানুষের মৃত্যু হলে শ্মশান হোক অথবা কবরস্থান সর্বত্রই ফারহাদ সাহেবকে দেখতে পাওয়া যায়। কোনও অসুস্থ অসহায় মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সবার আগে এগিয়ে আসেন।জেলা পরিষদে ফারহাদের দপ্তরে আসা সওকাত আলী নামে আর একজন ব্যক্তি বলেন, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে একেএম ফারহাদ বদ্ধপরিকর। তাঁর মতো এইরকম দায়িত্বশীল মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসাবে যত আসবেন ততই আমাদের এই সমাজ সমৃদ্ধ হবে।তৃণমূল কংগ্রেসের একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি যেভাবে দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সাহায্য করে চলেছেন তা নজিরবিহীন।
উল্লেখ সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি এবং জেলা পরিষদের দায়িত্বশীল কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দপ্তর সামাল দেওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলা একেএম ফারহাদ বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ, দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ও ফিরহাদ হাকিমদের দেখানো পথেই মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাই। তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করা একজন জনপ্রতিনিধির ধর্ম। তাই তাঁদের কাজকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়েই সম্পাদন করার চেষ্টা করে থাকি। জেলা জুড়ে দুর্নীতি মুক্ত কাজের জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে বলে একেএম ফারহাদ জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct