সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: যতক্ষণ পর্যন্ত না রেলবোর্ডের একেবারে শীর্ষস্থান থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কারণ এখানে যারা কাজ করছেন যারা কন্টাক্ট নিয়েছেন তারা বিষয়টাকে সামলে উঠতে পারছেন না। আমি ইঞ্জিনিয়ার নই কিন্তু দীর্ঘদিন পুরসভার কাউন্সিলর থাকার সুবাদে আমার মনে হচ্ছে যে যে জায়গায় মেশিন আটকে গেছিল ওখানে ওয়াটার পকেট তৈরি হয়েছে। ওয়াটার পকেট থেকে জল রিভার্স যাওয়ার জন্যই মাটি ধুয়ে কাদায় পরিণত হচ্ছে আর তার যেন এই ঘটনা ঘটছে। এইরকম ভাবে চলতে থাকলে দুদিন অন্তর ফাটল দেখা দেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদেরকে কোথাও শিফট করব তাদের খাবারের ব্যবস্থা করব আবার দু'বছর পর একই সমস্যা হবে। আমি বসে আছি বৈঠক করবার জন্য কিন্তু শীর্ষ স্তর থেকে এইটা নিয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজন হলে ওই এলাকার কতগুলি বাড়ি ভেঙে ফেলে একেবারে নিচ থেকে পাইলিং করে সেখানে বিল্ডিং তুলে যার যত স্কোয়ার ফিট সেটা দিতে হবে দরকার হলে মেন রাস্তা থেকে এফএআর করতে হবে। এখানে যারা রয়েছেন তারা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নেই, ফলত রেলবোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কে এবং মাটি বিশেষজ্ঞদের কে ডেকে ছিলাম আবার ডাকবো আজ হয়তো হবে না আগামী কালকের মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা বলব। শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশ মেয়রের। অন্যদিকে শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন,
ডেঙ্গি পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। এখনও বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গির প্রবণতা রয়েছে। পুজো পর্যন্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছিল পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সহ একাধিক বিভাগের কর্মীদের সেই ছুটি বাতিল আরও বাড়াতে বলা হয়েছে যতদিন না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। একইসঙ্গে পুজোর পর কলকাতা পুরসভার যে ফিভার সেন্টারগুলি রয়েছে সেখানে রোগী আসার সংখ্যা বেড়েছে। তাই সেখানে লোকবল বাড়াতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যত বেশি সম্ভব ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে বলেছি। এই যে আবহাওয়া এই আবহাওয়ার জন্য সমস্যা হচ্ছে দেখুন না আপনার কপালে ঘাম জমেছে। আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি যে অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখে কপালে ঘাম জমতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct