জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া, আপনজন: ছয় মাস মেয়াদ পেরোতেই অনাস্থার চিঠি পড়ল ঝালদা পৌরসভায়। পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার মোট ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬ জন কাউন্সিলারের সমর্থন নিয়ে অনাস্থার আবেদন করে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ঝালদা পৌরসভা, ঝালদা মহকুমা শাসক ও জেলা শাসককে অনাস্থা চিঠি জমা দেন কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী ৫ জন কাউন্সিলর ও নির্দলের টিকিটে জয়ী ১ জন কাউন্সিলর মিলে মোট ৬ জন কাউন্সিলর। ঝালদা পৌরসভা মোট ১২ টি আসন বিশিষ্ট। এবারে পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল পায় ৫টি আসন, কংগ্রেস পায় ৫টি ও নির্দল পায় ২টি আসন। যদিও এরই মধ্যে একজন নির্দলের টিকিটে জয়ী প্রার্থী তথা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি নির্বাচনের ফল ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
অন্যদিকে ২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু দুস্কৃতিদের ছোড়া গুলিতে খুন হন। গত ৫ এপ্রিল ১ জন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে ঝালদা পৌর বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। পৌর প্রধান হন ৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী প্রার্থী সুরেশ আগারওয়াল। অবশেষে ৬ মাস পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে পৌরসভার ৫ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর সহ আট নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার (রঞ্জন) মিলে মোট ৬ জন কাউন্সিলার ঝালদা মহকুমা শাসক কে এই অনাস্থার আবেদন জমা দেন। এই বিষয়ে ঝালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি রাজেশ রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদিও বিষয়টি নিয়ে ঝালদা শহর বিজেপি সভাপতি বিজয় ভগত বলেন, ঝালদা পৌর সভায় এটা একটা ট্রাডিশনাল অনাস্থা। কাউন্সিলারদের ভাগ না বসলেই অনাস্থার ডাক দেন। তাছাড়া এই তৃণমূল দলটা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার। এরা বেশিদিন টিকবে না সেটা আগেই বুঝেছি। এবিষয়ে কংগ্রেস জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন , অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেখাবে কংগ্রেস। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, পৌরসভায় যেহেতু সমীকরণ আসন সংখ্যা সমান সমান তাই অনাস্থা পাস করানোর জন্য কংগ্রেস কে চ্যালেঞ্জ করলেন তিনি। তিনি আরও বলেন ,অনাস্থা প্রস্তাব আনলেই হবে না তা আগে পাস করে দেখাক কংগ্রেস।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct