সম্প্রীতি মোল্লা, মঙ্গলকোট, আপনজন: সোমবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-প্রাপ্ত শোলা শিল্পী আশীষ মালাকার কে।এদিন ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে কাটোয়া মহকুমা আদালতের নির্দেশে। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শোলার কাজ শিখিয়ে দেওয়ার নাম করে গ্রামেরই এক বধূকে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলকোট থানার বনকাপাশি গ্রাম শোলাগ্রাম নামে পরিচিত। সেখানকারই বাসিন্দা আশীষ মালাকার শোলা শিল্পে শিল্পগুরু উপাধি পেয়েছিলেন গত ১৯৯০ সালে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি হস্তশিল্প প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের শোলার কাজ শিখিয়ে তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শিল্পী আশীষ মালাকারকে।অভিযোগ, স্থানীয় এক মহিলাকে শোলার কাজ শিখিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন আশীষ মালাকার। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ঘটনার ছবি ও ভিডিও তুলে রেখে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে বারবার ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে এই শোলা শিল্পীর বিরুদ্ধে ।স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ , বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন আসাধু কাজ করে আসছিলেন এই শিল্পী । তবে সম্প্রতি নির্যাতিতা মহিলা তাঁর পরিবারকে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছিলেন । এর পরেই আশীষ মালাকারের বাড়িতে চড়াও হন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্ত শিল্পীকে মারধর করা হয় । মহিলারা জুতো দিয়ে মারধর করেন এই শোলা শিল্পী কে। মঙ্গলকোট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আশীষ মালাকারকে গ্রেফতার করে। সোমবার অভিযুক্তকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে মঙ্গলকোট পুলিশ। এদিন ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। যদিও ধৃত শোলা শিল্পী তার বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি জানান - " অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে "
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct