সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: রাজনৈতিক রং বদলালেও দিন বদলায় না মুর্শিদাবাদের নির্মল চরের বাসিন্দাদের। সারা দিনে হাতে গুনে তিন থেকে চারটেই নৌকা চলে সেখানে। গ্রামটা ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় চার কিমি ভিতরে। নাম নির্মল চর। যদিও নামে নির্মল হলেও তার জনজীবন যে ততটাও নির্মল নয় তা জানান দেয় ওই গ্রামের রাস্তাই।প্রথমে রাণীনগর ১ ব্লকের বনমালী ঘাট থেকে নৌকায় করে যেতে হয় প্রায় এক কিলোমিটার তারপর কাদা পাঁকের প্রায় তিন কিমি রাস্তা পেরিয়ে তবে পৌঁছানো যায় নির্মল চর। উপরি বিএসএফ এর চোখ রাঙানি তো রয়েইছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই গ্রামে প্রায় দুই, আড়াই হাজার মানুষের বাস। তবে সেখানে না আছে কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র,না আছে কোনো স্কুল। বিদ্যুৎ পৌঁছানো তাদের কাছে যদিও স্বপ্ন তবে বছর খানেক আগে সোলার লাইটের ফলে বাড়িতে আলো, ওতে টুকিটাকি কাজ গুলো হয়েই যায় তাদের। একাধিক সমস্যায় জর্জরিত নির্মল চরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, দেশের একদম সীমান্তে গ্রাম হাওয়াই তাদের দিকে নজর দেন না সরকারি বাবুরা। রাত বিরেতে যদি কোনো অসুখ, বিসুখ হয় তবে হয় সকালের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের। খুব বড় সমস্যা হলে বিএসএফ এর কাছে কাকুতি মিনুতি করে মেলে ডাক্তার খানা আসার ছাড়। স্থানীয়রা জানান গ্রামের বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য যেতে হয় প্রায় ৪ কিমি দূরে চর দৌলতপুরে। প্রথমে প্রায় তিন কিমি পায়ে হেঁটে ও পরে নৌকায় করে যেতে হয় স্কুল। বৃষ্টি হলে সমস্যাটা বাড়ে আরও। এভাবেই কি কাটবে দিন ? দিনের পর দিন কি কাদা মাখা জলেই শৈশব কাটবে নির্মল চরের শিশুদের? প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি তাদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct