নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই গোয়াল ঘর। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন গোটা গ্রাম। দমকল গাড়ি দেরিতে আসায় রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। প্রাণ হাতে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেন গ্রামবাসীরাই। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর গ্রামে।পুড়ে ছাই হয়ে যায় আলিনগর গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের একটি গোয়াল ঘর ও একটি রান্না ঘর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র।তবে আগুনে গবাদি পশুর হতাহতের কোন খবর না পাওয়া গেলেও আগুন নেভাতে গিয়ে কৌসর আলি নামে এক গ্রামবাসী জখম হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এদিন সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য সাঁঝাল জ্বালিয়ে ছিলেন সাদ্দামের পরিবারের লোকেরা। আগুনের ফুলকি ছিটকে পড়ে গোয়াল ঘরের বেড়াতে আগুন ধরে যায়। নিমেষের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোয়াল ঘর।স্থানীয়রা ছুটে এসে নলকূপ থেকে জল তুলে বালতিতে করে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে দমকল কে ফোন করা হলেও সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি বলে অভিযোগ।আগুন নেভানোর ঘন্টা খানেক পর দমকল গাড়ি পৌঁছালে স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মাঝ রাস্তায় দমকল গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোপন আলি জানান, তুলসীহাটা দমকল অফিস থেকে আলিনগর গ্রামের দূরত্ব মাত্র দেড় কিলোমিটার।গ্রামে যথেষ্ট চৌরা রাস্তা রয়েছে।তা সত্বেও তাঁরা ঘন্টা খানেক দেরি করে আসেন। গ্রামবাসীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভিয়েছে। তারাই গ্ৰামের একমাত্র হিরো।দমকল মন্ত্রীকে তুলসীহাটা দমকল অফিসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবেদন করেন। তুলসীহাটা দমকল অফিসার বীরেন মহলদার জানান, ফোন পাওয়া মাত্রই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।তবে গ্ৰামের রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় বড় গাড়ি নিয়ে যেতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। অপরদিকে রাস্তার উপরে বিদ্যুতিক তার ঝুলে থাকার কারণে গাড়ি পৌঁছাতে দেরি হয়। গ্রামবাসীদেরকে সমস্যার কথা বলা সত্ত্বেও তারা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।তবে তাঁরা সব সময় মানুষের সেবায় রয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct