সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: দেশের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে এখন দু’নম্বরে রয়েছে বাংলা। সেই বাংলার বুকে ক্ষুদ্র শিল্পকে আরও সবল করে তুলতে ও আরও সম্প্রসারিত করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে নজর দিচ্ছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেই এখন সব থেকে বেশি কর্মসংস্থান হয়। তাই এই শিল্পের বাড়বৃদ্ধি হলে তা বাংলার বুকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জোয়ার তো আনবেই সেই সঙ্গে বাংলার অর্থনীতিকেও আরও জোরদার করে তুলবে। সেই লক্ষ্যেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের জন্য চলতি অর্থবর্ষে রেকর্ড ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড ঋণ প্রদান বা ক্রেডিট লেন্ডিং-এর টার্গেট ধার্য করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার।কোভিড ঝড়ের মধ্যেও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ক্ষুদ্র শিল্প ঋণ প্রদান করা হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থবর্ষের বাকি তিন মাসে আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট লেন্ডিং হয়। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ছিল ৮৭ হাজার কোটি টাকার এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মোট ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট লেন্ডিং হয়েছিল। অর্থাৎ, চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে ক্রেডিট লেন্ডিং। এই ক্রেডিট লেন্ডিং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে সাহায্য করবে নিজেদের কাজের পরিধি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে। আর এই কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেলেই সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান। কাজ পাবেন বাংলার লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী। নবান্ন সূত্রে খবর, ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানের টার্গেটের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ঋণ ইতিমধ্যে মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের এখনও অর্ধেক বাকি রয়েছে। সেই হিসাবে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অনুমান, তাঁরা অনায়াসে টার্গেটে পৌঁছে যাবেন। এই ভাবে কাজ চলতে থাকলে, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলা এক নম্বর হতে বেশি সময় নেবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct