সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: কলকাতা পুরসভার ১৭টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন এর সুব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত সকলে। এই ব্যবস্থা আগামী ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গঙ্গার তীরবর্তী বাজে কদমতলা ঘাট পরিদর্শনে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র জানান, কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে গঙ্গার ঘাট গুলিতে ঠাকুর নিরঞ্জনের পর অতি দ্রুত সেই কাঠামোকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার জন্য পেলোডা, ক্রেন সমস্ত কিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দশমীর দিন গঙ্গার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কাঠামো ক্রেনে করে তুলতে গিয়ে একটি মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন , মৃতদেহটি অন্য কোথাও থেকে ভেসে এসেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে, এরপর কি করে মৃতদেহটি সেখানে এল সে ব্যাপারে জানা যাবে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হরকাবানে একাধিক জনের মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে । তবে মনে রাখতে হবে ,পাহাড়ে পাথর আটকে থাকে। সেই পাথর সরে গেলে অতি দ্রুত জলের স্রোত নিচে নামে ।আর হড়কাবান বিপজ্জনক নয়, কিন্তু যে গতিতে জলে স্রোত বইতে থাকে তাতেই অঘটন ঘটে। সেখানে প্রতিমা নিরঞ্জন এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল, প্রশাসনের পক্ষ থেকে, এই দাবি করে ফিরহাদ বলেন, কলকাতা শহরে গঙ্গার ঘাট গুলিতে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ দিয়ে বাড়তি লোকজনদের গঙ্গার ঘাটে আসতে দেওয়া হয় না । আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু জেলার ক্ষেত্রে বড় নদীতে সেখানে এত বিস্তৃত এলাকা, এই ধরনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। ওইসব এলাকায় যে নদীগুলো আছে সেখানে পাথর না সরিয়ে দিলে জলে স্রোত না আসলে প্রতিমা নিরঞ্জন করা সম্ভব নয় বলেও জানান ফিরহাদ। কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায় কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে সিরাত বলেন গঙ্গা অথবা নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস ।সেই বিশ্বাসে তিনি বা তার প্রশাসন কখনোই আঘাত দিতে পারেন না । তিনি এই ধরনের কৃত্রিম জলাশয় গড়ে হোস পাইপ দিয়ে জল দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু অনেকেই তা মেনে নিতে চাননি ।তাই এই প্রক্রিয়াটা থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হন বলে জানান ফিরহাদ। বিজয় দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযোগ ওঠে যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছিল না ।সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, এটি সঠিক কথা নয়, সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা ছিলেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে সব হাসপাতালেই চিকিৎসকরা ডিউটি করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct