সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: খয়রাশোল ব্লকের নাকড়াকোন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাকড়াকোন্দা ফাল্গুনী পল্লী দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গাপূজা। নাকড়াকোন্দা গ্রামের ভুমিপুত্র সাহিত্যিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণার্থে কতিপয় যুবকের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসব । ফাল্গুনী পল্লী নামানুসারে দুর্গোৎসব এবছর অষ্টম বর্ষে পর্দাপন করল। প্রত্যেক বছর তাদের নিত্য নতুন ভাবনা এলাকাবাসীর নজর কাড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারের থিম করা হয়েছে পুঁতি মহল। মেদিনীপুর থেকে সেই সমস্ত কারুকার্য খচিত জিনিসপত্র আনয়নের মধ্যে নির্মিত হয়েছে মন্ডপ সজ্জা। পাপু ডেকোরেটার্স এর কর্ণধার তথা স্থানীয় বাসিন্দা অরিন্দম মুখার্জী ওর্ফে বিষ্ণু মুখার্জী রয়েছেন এই মন্ডপ সজ্জার দায়িত্বে।অপরদিকে মন্ডপের মধ্যে নির্নিয়মান ঠাকুর গড়ার কারিগর তথা মৃৎশিল্পী উজ্জ্বল সূত্রধর স্থানীয় পেরুয়া গ্রামের বাসিন্দা। মন্ডপের পাশাপাশি প্রতিমা গড়নের ক্ষেত্রে ও দর্শনার্থীদের মন আকৃষ্ট করে থাকে। গ্রামীণ শিল্পী হলেও কুমোরটুলির থেকে কোনো অংশে কম নয় বলে আগত দর্শনার্থীদের অভিমত। বীরভূম, বর্ধমানের বিভিন্ন গ্রাম এলাকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ও বহু গ্রাম এলাকা থেকে ঠাকুর দেখতে ভীড় জমান । একটানা কয়েকদিন যাবৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পুজো উদ্যোক্তারা খুব চিন্তিত ছিলেন। দশমীর দিনে মেঘ কিছুটা পরিস্কার হতেই মন্ডপের মধ্যে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যনীয় । কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায় প্রতিদিন লোকনৃত্য, রবীন্দ্র নৃত্য, লোকগান সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তাদের মধ্যে সাধন ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী, কাজল চক্রবর্তী, প্রহ্লাদ দে সহ যুব গোষ্ঠীর উৎসাহ উদ্দীপনা আতিথেয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। একান্ত সাক্ষাৎকারে ফাল্গুনী পল্লী দুর্গোৎসব কমিটির কর্নধার শ্রীমন্ত মুখার্জী জানালেন সাহিত্যিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় থেকে পুজো শুরুর চিন্তা ভাবনা ও তার বৃত্তান্ত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct