আপনজন ডেস্ক: সন্তানের সুস্থতা এবং নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই সময় হবু মাকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। প্রিয় খাদ্যগুলো ডায়েট থেকে বাদ চলে যায় এবং যেগুলো একবারেই খেতে ভালো লাগে না, অনিচ্ছা সত্বেও সেগুলোই খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা এবং গর্ভস্থ শিশু উভয়ই সুস্থ থাকতে হলে বেশ কিছু পানীয় নিয়মিত খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ তালিকায় প্রথমে থাকবে টাটকা ফলের রস।ফলের রস গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েটরি ফাইবার সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের মৌসুমি ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। প্রায় সব ফলই আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে, যা ক্রমবর্ধমান শিশুর জন্য অপরিহার্য। এছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি সুপ নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। সুপ আমাদের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং গর্ভাবস্থায় যে সব মহিলা খাবার খেতে চান না, তাদের খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। ব্রকলি, গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, টমেটো, এ সব সবজি দিয়ে তৈরি সুপ দেহে প্রোটিন এবং ফাইবার সরবরাহ করে। বাটারমিল্ক বা ঘোল পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং গর্ভাবস্থায় অম্বলের সমস্যা দূর করে। ঘোল আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে। গরমকালে দিনের বেলা এ পানীয় খেলে শরীরে তরল এবং লবণের ঘাটতি দূর হয়। এগুলির পাশাপাশি দুধ পান করা উচিত।দুধ হলো ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। শিশুর হাড় ও দাঁতের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই গর্ভাবতীদের নিয়মিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া আবশ্যক। সর্বোপরি লেবুর জল খাবেন।লেবুর জল এক ধরনের শক্তিদায়ক পানীয়। সকালে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে লেবুর জল খেতে পারেন। এ সাইট্রাস ফলটি ভিটামিন সির পাওয়ার হাউস, যা হজমে সাহায্য করে, বমি বমি ভাব দূর করে, মর্ণিং সিকনেস এবং পেটের ফোলাভাব উপশম করতে সহায়তা করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct