X
২ অক্টোবর, ২০২২, রবিবার২০:৩২
নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: মায়ের শেষ কৃত্যের জন্য খুনের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে শুক্রবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুরে প্যারোলে নিয়ে আসেন পুলিশি পাহারায়। এদিন আসামিকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।জানা গেছে,৮ বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা স্টেশনে ঘটে যাওয়া নৃশংস মোজাম্মেল হত্যা কাণ্ডের অভিযুক্ত ১২ জনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন মালদা কোর্ট। এরপরই ওই ১২ জন যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিদেরকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে এই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে থাকা হরিশ্চন্দ্রপুরের রাঙ্গাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মালেক কস্তুর ওরফে বাবলুর মা মারা যাওয়াতে তাকে প্যারোলে হরিশ্চন্দ্রপুর নিয়ে আসে বালুরঘাট পুলিশ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের এবং স্থানীয় শাসকদলের নেতারাই ব্যবস্থা করেন তাকে আনার জন্য।এদিন এই যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আসামিকে দেখতে এলাকার আশে-পাশের গ্রাম ভেঙ্গে পড়ে রাঙ্গাইপুর এলাকায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। সেই রাত্রেই যাবজ্জীবন সাজপ্রাপ্ত আসামী বাবলু মৃত মায়ের শেষ কার্যসম্পন্ন করার পরেই তাকে নিয়ে পুনরায় বালুরঘাট জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত বছর আটেক আগে জমি বিবাদের জেরে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার রাঙ্গাইপুর গ্রামের এক ইটভাটার মালিক মোজাম্মেল হককে মালদা কাটিহার গামী ট্রেন থেকে ভালুকা রোড স্টেশনে নামিয়ে নিশংস ভাবে খুন করে এলাকার একদল দুষ্কৃতী। তার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তা বন্দী করে দৌলতনগর ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ওই খুনের ঘটনায় এলাকার বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করে মোজাম্মেলের পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে কোর্টে কেস চলার পরে গত আট মাস আগে রাঙ্গাইপুর গ্রামেরই ১২ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে মালদা জেলা আদালত। এই সাজাপাত্র আসামিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই মালেক কস্তুর ওরফে বাবলু। এদিকে বাবলুর স্ত্রী জুলেখা বিবি জানান আমার স্বামী নির্দোষ। তাকে চক্রান্ত করে এই মামলায় ঢোকানো হয়েছে। বাড়িতে ছোট ছোট পাঁচটা ছেলেমেয়ে রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জন কারী ছিল আমার স্বামী। স্বামী জেলে চলে যায় পরিবারের উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আমি গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি করি, ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছি।
