সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: ২০২২ এর 'কলকাতা শ্রী' পুরস্কারে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হল উত্তর বনাম দক্ষিণের মধ্যে। কলকাতা পুরসভার বিচারক মন্ডলীর দ্বারা 'কলকাতা শ্রী' সেরার সেরা পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব ও সুরুচি সংঘ। অপরদিকে উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয় ও হাতিবাগান সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটিও ভূষিত হয়েছে এই পুরস্কারে। কলকাতা শ্রী সেরা পুজো হিসেবে গণ্য হয়েছে- চোরবাগান সর্বজনীন, ৯৫ পল্লী সার্বজনীন, রাজডাঙা নবোদয় সংঘ ও বড়িশা ক্লাব। কলকাতা শ্রী সেরা প্রতিমা হিসেবে গণ্য হয়েছে- বকুলবাগান সার্বজনীন, অজেয় সংহতি, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী বাসীবৃন্দ ও ২৫ পল্লী ক্লাব, খিদিরপুর । কলকাতা শ্রী সেরা শৈল্পিক উৎকর্ষ হিসেবে গণ্য হয়েছে- ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাংক পার্ক সার্বজনীন, কালীঘাট মিলন সংঘ, নবীনপল্লী সার্বজনীন, হিন্দুস্তান পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। কলকাতা শ্রী সেরা বিষয় পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে কুমারটুলি পার্ক সার্বজনীন, বোসপুকুর শীতলা মন্দির দুর্গা উৎসব কমিটি, বেহালা নতুন দল ও শিব মন্দির সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। কলকাতা শ্রী সেরা আলোকসজ্জা বিবেচিত হয়েছে- কাশি বোস দুর্গাপূজা সমিতি, চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ও বাদামতলা আষাঢ় সংঘ। শনিবার কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশীষ কুমার যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এ বছর মোট ১১৬টি পুজোকে পুরস্কৃত করেছে কলকাতা পুরসভা। প্রত্যেক পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নগদ ৫০,০০০ টাকা ও স্মারক উপহার। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বিচারক মন্ডলীতে ছিলেন শ্রীজাত, শ্রাবণী সেন ও চন্দন চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, হোস পাইপ দিয়ে প্রতিমাকে মন্ডপের সামনে তর্পণ করার বিষয়টি নিয়ে অধিকাংশ পুজো কমিটি কোন আগ্রহ দেখায়নি। তবে এ বছরও মন্ডপের সামনে অস্থায়ী জলাধার গড়ে প্রতিমা বিসর্জন এর ব্যবস্থা করছে ত্রিধারা, দেশপ্রিয় পার্ক ও টালা প্রত্যয়। যদি সেনাবাহিনী অনুমতি দেয় তাহলে ভবিষ্যতে কলকাতা ময়দানে যেখানে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে অস্থায়ী জলাধার গড়ে তোলা হবে, কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে, প্রতিমা তর্পনের জন্য। সেই জল গঙ্গা থেকে হোসপাইপ করে সেখানে নিয়ে আসা হবে। এরপর প্রতিমার গায়ের মাটি ও রং ধুয়ে গেলে, সেই প্রতিমার কাঠামো গঙ্গায় নিয়ে গিয়ে জলে ডুবিয়ে ক্রেনের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা চালু হলে তখন প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে যে গঙ্গায় দূষণ হয় তা অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে বলে, আশা প্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct