আপনজন ডেস্ক: বয়সের সঙ্গে এই উচ্চ রক্তচাপের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকলেও এটি পারিবারিক সূত্রেও হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি কম্বোডিয়ার মেডিকেল অফিসার ডা. জ্যাকোব হাসকালোভিসি বলেন, 'প্রত্যেকেরই নিজের রক্তচাপ সম্পর্কে জানা ও সচেতন হওয়া উচিত। এরজন্য নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং নিজে থেকেই চিকিৎসকের কাছ থেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে।' যারা প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম গ্রহণ করেন তাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে। ডা. হাসকালোভিসি ব্যাখ্যা করে বলেন, 'উচ্চ রক্তচাপ ক্লান্তিবোধ, দুর্বলভাব, ব্যথা এমনকি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ায় ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে উচ্চ রক্তচাপ কিডনি, হৃদপিণ্ড ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা সৃষ্টি করে। লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়। কেননা এতে করে দেহ জল ধরে রাখে যা, শিরাগুলোতে চাপ সৃষ্টি করে।' দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস থেকে সামান্যতম লবণের পরিমাণ কমানো শরীরের জন্য উপকারী। সম্ভব হলে রান্নার লবণের পরিবর্তে স্বাদযুক্ত মসলা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড ও ভারি নোনতা খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত। সামান্যতম সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমানো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে এবং উচ্চ রক্তচাপ পাঁচ থেকে ছয় মি.মি এইচজি পর্যন্ত কমাতে সহায়তা করে। রক্তচাপের ওপর সোডিয়াম গ্রহণের প্রভাব বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
সাধারণভাবে, দিনে ২৩০০ মি.লি. গ্রামের বেশি সোডিয়াম গ্রহণ করা উচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ১৫০০ মি.লি. গ্রাম বা এর কম সোডিয়াম গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া মানসিকচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। মানসিকচাপে থাকলে শরীর তা মোকাবেলা করার জন্য হরমোন তৈরি করে। অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে চাপ বৃদ্ধি করে। এতে হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হয়। ডা. হাসকালোভিসি জানান, 'সমস্যের সাথে সাথে উচ্চ চাপ উচ্চরক্তচাপের সৃষ্টি করে। শরীরচর্চা, ঘুম, ভালো বন্ধু, অর্থপূর্ণ জিনিস ও শান্ত মুহুর্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, অনেকে ধ্যান, মালিশ করা, প্রকৃতিতে হাঁটাহাঁটি করা অথবা মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct