নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে প্রায় ৪ হাজার নিয়োগের নির্দেশ জারি করা হয়েছে সোমবার দুপুরে । যা সাধারণ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পুজোর ‘উপহার’ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের পরেও ৩৯২৯টি শূন্যপদ ছিল। এবার সেই শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অসংখ্য মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে ।ঠিক এইরকম এক মামলার এদিনকার শুনানিতে ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের চাকরির দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দু’বার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। একবার ২০১৬ ও দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে। প্রথম ধাপে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে জানা যায় ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদ রয়েছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর জানা যায় ৩৯২৯ টি শূন্যপদ রয়েছে এখনও । শূন্যপদ থাকতেও চাকরি দেওয়া হয়নি কেন? এই দাবি কে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ২০১৪ সালের একাংশ টেট উত্তীর্ণরা। এই মামলার শুনানি ছিল সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এদিনের শুনানিতে এজলাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, -’যোগ্যরা কেন চাকরি পাননি? তা স্পষ্ট নয়। রাজ্যের থেকে এ ব্যাপারে হলফনামা চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি।’ অভিযোগ, শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ করা হয়নি টেট ২০১৪ সালের উত্তীর্ণদের। ১৬, ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের কথা বলা হলেও নিয়োগ হয় ১২,৫৭১ জনের। বাকি থাকে ৩,৯২৯ শূণ্যপদ। মামলাকারীদের তাঁদের ক্যাটাগরি ও মেধাগত অবস্থান বিচার করে চাকরি দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ’, এদিনের শুনানি পর্বে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০২০ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ-পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যৌথ বৈঠকের পর সামনে আসে শূন্যপদ ৩,৯২৯ ফাঁকা। যোগ্য মেধাবী পরীক্ষার্থী থাকা সত্বেও ৩,৯২৯ শূন্যপদে কেন তাঁরা নিয়োগ পাবে না’ বলে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct