আপনজন ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বিজেপি সমর্থিত শিবসেনা সরকার গঠিত হয়েছে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে। এবার মহারাষ্ট্র সরকার সেখানকার ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের সামাজিক, শিক্ষাগত এবং অর্থনৈতিক অবস্থা’ নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের অধীনে থাকা সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিভাগ মহারাষ্ট্রের ছটি রাজস্ব বিভাগের ৫৬টি শহরে এই সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সব এলকার মুসলিম জনসংখ্যা কোথায় কি অবস্থায় আছে তা জানাতে এই সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস। এই সমীক্ষা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, আবাসন, ঋণপ্রাপ্তি এবং পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর রাষ্ট্রের নীতির প্রভাব পরীক্ষা করবে। এ ব্যাপারে শিন্ডে সরকারের দাবি, মুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও মহারাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সর্বশেষ এই ধরনের সমীক্ষাটি তৎকালীন কংগ্রেস-এনসিপি সরকার ২০০৮ সালে করেছিল। যার নেতৃত্বে ছিল মেহমুদ-উর-রহমান কমিটি। সমীক্ষার কাজ শেষের পর ২০১৩ সালে ওই কমিটির রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হয়েছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মহারাষ্ট্রের প্রায় ৬০ শতাংশ মুসলমান দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। সাচার রিপোর্টের মতোই মেহমুদ-উর-রহমান কমিটি তাদের সমীক্ষা রিপোর্টে জানিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে সরকারি চাকরিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশ মাত্র ৪.৪ শতাংশ। মুসলিম সম্প্রদায়ের মোট স্নাতকের হার ২.২ শতাংশ। তাই মহারাষ্ট্রে চাকরি, শিক্ষা এবং আবাসনে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করার ভিত্তিতে তৎকালীন এনসিপি কংগ্রেস জোট সরকার ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাতে চাকরিতে মুসলমানদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় যদিও আদালত মহারাষ্ট্রে সরকারি চাকরিতে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ আইনসিদ্ধ নয় বলে তা বাতিল করে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct