মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: প্লাস্টিক ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র।বর্তমান দিনে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ভার কারিগরের অভাবে কার্যতো হারিয়ে গেছে মাটির ভার। বেশ কয়েক বছর আগে শহরের প্রত্যেকটি চায়ের দোকানে দেখা যেত এই মাটির ভার। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তিতে প্লাস্টিকের তৈরি কাপ চায়ের দোকানে বেশি দেখা যাচ্ছে। কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মাটির পুতুল বিখ্যাত সেখানেই এক মৃৎ শিল্পীরা জানাচ্ছে আগে প্রচুর পরিমাণে মাটির ভার কলসি সহ বিভিন্ন কিছু মাটির তৈরি জিনিসপত্র প্রচুর অর্ডার আসতো। এখন ভার বা কলসি কোন কিছুই অর্ডার আসে না নামমাত্রে কয়েকটা দোকান ব্যবহার করে। বর্তমান প্রযুক্তিতে একটি মাটির ভাট তৈরি করতে যে পরিমাণ খরচ তাতে কোন চায়ের দোকান বা মিষ্টির দোকানে ব্যবহার করবে না। বিভিন্ন শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলে প্লাস্টিক বর্জন করার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযান চালালেও তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার করা কমছে না বলে এমনটাই জানায় মৃৎশিল্পীরা। শহরের দিকে এখনো কোন কোন চায়ের দোকানে দেখা পেলে মাটির ভার। আগের দিনে নতুন জামাই শশুর বাড়ি গেলে মিষ্টির দোকান থেকে এক ভার মিষ্টি নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যেত। এখন প্লাস্টিকের কাগজ মিষ্টি নিয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে লকডাউনের জেরে মৃৎ শিল্পীরা সংসার চালানোর দায় হয়েছিল।
লকডাউন কাটিয়ে উঠলেও এখনো তেমনভাবে খুব একটা অর্ডার পত্র নেই বলে জানাই যদিও সামনে দুর্গা পুজো কিছুটা হলেও আগের থেকে ভালো। অনেক শিল্পী রাই এই মাটির তৈরি জিনিসপত্র কাজ ছেড়ে দিয়ে কেউ টোটো চালাচ্ছে কেউ বা সবজির ব্যবসা করছে। ১২ মাস মাটির একটা জিনিসের চাহিদা থাকলে তবেই আমরা কিছুটা হলে লাভবান হব। শুভঙ্কর পাল জানান আমরা তিন পুরুষ থেকে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে আসছি বিগত দিনে ভালোভাবেই ব্যবসা চলেছে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। দুর্গা পুজো দেওয়াল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাটির তৈরি জিনিসপত্র চাহিদা ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct