সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: দুঃস্থ, অসহায়, বস্ত্রহীন ব্যক্তিদের বস্ত্র দেবে বস্ত্রব্যাঙ্ক। অভিনব বস্ত্র এটিম চালু হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ে। রবিবার দুপুরে অভিনব বস্ত্রব্যাঙ্ক ও বস্ত্র এটিএম -র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ভাঙড় উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে বস্ত্রব্যাঙ্ক ও বস্ত্র এটিএম। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “চলো পাল্টাই” অভিনব এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্কুল রোডের ধারে ভাঙড় উচ্চ বিদ্যালয় ও ভাঙড় পীর সুলতান শাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহের মাজারের মধ্যবর্তী স্থানে আস্ত একটি দোকান ভাড়া নিয়েছে “ চলো পাল্টাই” সংস্থা। গোটা দোকানকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিয়ে। যা দেখলে হঠাৎ মনে হতে পারে বিকিকিনির জন্য গড়ে উঠেছে নতুন কোনো বস্ত্র প্রতিষ্ঠান। অথচ না! এটি আসলে বস্ত্রব্যাঙ্ক। যেখান থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পোশাক বা বস্ত্র দেওয়া হবে দুঃস্থদের।
বস্ত্রব্যাঙ্ক গড়ে তোলা হয়েছে নতুন পোশাকের সমাহারের পাশাপাশি পূরাতন পোশাক দিয়েও। অব্যবহৃত অথচ ব্যবহার যোগ্য পোশাক এখানে রাখা থাকবে। বিত্তশালী ব্যক্তিরা এখানে নতুন পোশাকের পাশাপাশি ব্যবহার করেন না এমন পোশাক দান করতে পারবেন। “চলো পাল্টাই” স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আহবানে সাড়া দিয়ে ভাঙড়ের পাশাপাশি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিত্তশালীরা নতুন এবং পুরাতন পোশাক দান করেছেন। এমনকি ভিন দেশ থেকেও বস্ত্র এসেছে।এদিন বস্ত্রব্যাঙ্ক ও বস্ত্র এটিএম -র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দীপ্যমান মজুমদার ও ভাঙড় ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কাইজার আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রধান সামসুল আলম, সমাজসেবী হারাধন দাস, শিক্ষক মহম্মদ মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।বিডিও দীপ্যমান মজুমদার এদিন আপনজনকে বলেন,” খুব ভালো উদ্যোগ। প্রয়োজন হলে আমরা প্রশাসনিক ভাবে পাশে থাকব। এমনকি আমি ব্যাক্তিগত ভাবেও পাশে থাকবো।” কর্মাধ্যক্ষ কাইজার আহমেদ আপনজনকে বলেন, “ চলো পাল্টাই সব সময় মানুষের জন্য কাজ করে। এটা নতুন সংযোজন। সবরকম ভাবে এদের পাশে থাকব।”
“চলো পাল্টাই” সংস্থার কর্ণধার সুমন দাস সারা রাজ্যে বস্ত্রের এটিএম এটিই প্রথম বলে দাবি করেন। তিনি আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, সপ্তাহের সব কদিন বস্ত্রব্যাঙ্ক ও বস্ত্র এটিএম খোলা থাকবে। সোম থেকে শুক্র বার বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। শনি ও রবিবার খোলা রাখা হবে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা অবধি। এটিএম - র মধ্যে ভরা থাকবে বস্ত্র। দুঃস্থ মানুষজন সেখান থেকে নিজেরাই এটিএম থেকে নিজেদের পছন্দমতো পোশাক নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি “ চলো পাল্টাই” সংস্থার সদস্যরা মাঝে মধ্যে যে যখন সময় পাবেন উপস্থিত থাকবেন। এমনকি এখান থেকে ভাঙড় ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বস্ত্রহীনদের বস্ত্র পৌঁছে দেবে সংস্থার সদস্যরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct