আপনজন ডেস্ক: ১০ দিনের ম্যারাথন শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার হিজাব নিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল। কর্নাটক সরকার সে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কর্নাটক হাইকার্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের মামলায় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কৌঁসুলি, শিক্ষক এবং আবেদনকারীদের যুক্তি শোনার পরে কর্নানটক হাইকোর্টের রাযকে বহাল রাখে।
আবেদনকারীদের মধ্যে কয়েকজনের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট দুশ্যন্ত দাভে পুনরায় আবেদন করার সময় বলেন, যারা বিশ্বাসী তাদের জন্য হিজাব অপরিহার্য এবং যারা বিশ্বাসী নয় তাদের জন্য এটি অপরিহার্য নয়। তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্দেশিকা জারির কোনও কারণ নেই। বেঞ্চ দাভেকে বলে, উচ্চ আদালতের এই পথে এগনোর কারণে আবেদনকারীরা এই পথেই নিয়ে গেছে। কিছু আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট হুজেফা আহমাদি বলেন, হিজাবের পিছনে পিএফআই থাকার যুক্তিটিআগে উচ্চ আদালতে উত্থাপিত হয়নি এবং এটি বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য প্রবর্তিত একটি যুক্তি। কর্নাটক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অভিযোগ করেছিলেন যে ২০২১ সাল পর্যন্ত, কোনও মেয়ে শিক্ষার্থী কোনও হিজাব পরেনি এবং ইউনিফর্ম স্কুলে অপরিহার্য শৃঙ্খলার অংশ হওয়ায় কঠোরভাবে তা এখন অনুসরণ করা হচ্ছে। মেহতা আরও বলেন, হিজাব পরা শুরু করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পিএফআইয়ের বার্তা ছিল এবং এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত কাজ ছিল না, পরিবর্তে এটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল এবং ছাত্রীরা পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছিল। আবেদনকারীদের কৌঁসুলি কর্নাটক সরকারের সার্কুলারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, পিএফআই-এর কোনও কার্যকলাপের উল্লেখ ছিল না। বরং সার্কুলারে ধর্মীয় অনুশীলনগুলি পালনকে একতা ও সমতার ক্ষেত্রে “বাধা” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্র, কর্নাটক সরকার বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, স্কুল ক্যাম্পাসে হিজাব পরার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলির শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct