সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: বাংলার জঙ্গলে আসছে না চিতা। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুনে অন্তত বোঝা গেল এমনটাই। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্দেশ্যে চিতা নিয়ে একটি প্রশ্ন ছিল রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক তাপস রায়ের।উল্লেখ্য চিতা , চিতাবাঘ এবং জাগুয়ার এক নয়। প্রায় ৭৪ বছর পর ভারতে আনা হয়েছে চিতা। আপাতত ৪টি চিতা নামিবিয়া থেকে এসেছে ভারতে। বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্দেশ্যে সবুজ শিবিরের বিধায়ক তাপস রায়ের প্রশ্ন ছিল, ‘বাংলার জঙ্গলে চিতা ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা আছে?’ সেই উত্তর দিতে যাচ্ছিলেন বনমন্ত্রী। তবে তার আগেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘এই প্রশ্ন গ্রহণযোগ্য নেই’।উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধানসভায় বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর চিতা আনার বিষয়টি। তবে চিতা আনা না হলেও বাংলাদেশ থেকে এই বঙ্গে খিদের জ্বালায় আসছে অনেক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গত বছরে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৬টি। আর এই বছর বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১২৩টি। পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবনে বাঘেদের পর্যাপ্ত খাবার জোগানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার ফলে খাবারের জন্য জঙ্গল সংলগ্ন জনবসতিতে হানা দেয় না বাঘ। আর এই খাদ্যের লোভেই বাংলাদেশের সুন্দরবন ছেড়ে ভারতের সুন্দরবনে ঢুকছে বাঘ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই রাজ্যে বাঘেদের জন্য মাস্টার প্ল্যানের। উল্লেখ্য, বাঘের খাবারে ঘাটতি যাতে না পড়ে তাই বনে নিয়মিত ছাড়া হয় হরিণ, শূকর। অন্যদিকে জনবসতিতে বাঘের হানা আটকাতে দেওয়া হয়েছে তারের জাল।
অন্যদিকে, বাঘের পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে গণ্ডারের দিকেও। পুরানো আইন প্রত্যাহার করে জমা করা হয়েছে নয়া বিল। তা পাশ হলে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের শিডিউল ক্যাটাগরিতে আসবে গণ্ডার। মানে গণ্ডার শিকার করলে তার শাস্তি আরও কড়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে গণ্ডারের সংখ্যা ৩৪৭, বাইসন ১৮০০ এবং হাতি ১১০০। বাঘের পাশাপাশি বেড়েছে গণ্ডার, বাইসন, হাতির সংখ্যাও। জানা গিয়েছে, হাতির জন্য ৭টি করিডর করা হচ্ছে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা খরচ করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct