আপনজন ডেস্ক: বিএ পাশ করেই অভাবের সংসারের হাল ধরতে চাকরির চেষ্টা করেছিলেন নীলফামারীর যুবক বাদশা মিয়া। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও মেলেনি চাকরি। এদিকে সরকারি চাকরিরও বয়স শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই হতাশায় লাইভে এসে নিজের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ কলেজের যাবতীয় সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। লাইভে বাদশা বলেন, ‘আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। কত মানুষ ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়ে চাকরি করছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সার্টিফিকেট অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কী? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি। আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে পড়াশোনা করিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার অর্থের অভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে।’অনেকেই বাদশার এমন কাজের বিরোধিতা করেছেন, আবার অনেকেই দিয়েছেন সান্ত্বনা। শুধু বাদশাই নন এমন হতাশা দেশের কোটি যুবকের বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। বাদশার বাবা মহুবার রহমান বলেন, ‘বাদশা তো মেলাদিন থেকে চাকরি খুঁজে পায় না। পরিবারেও অভাব। রাগ করে কাউকে না জানিয়ে এটা করছে। এ নিয়ে আমি নিজেও বোঝাইছি। ছেলে মানুষ করে ফেলছে কী করবেন আর।' মানবতা ফাউন্ডেশনের ডিমলা শাখার সভাপতি আবু সাঈদ সিয়াম জানান, হতাশা থেকেই এমনটা করেছেন। কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে মিটিং করে তারা বাদশাহর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct