রঙ্গিলা খাতুন, ভরতপুর, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার সামনে একটি পুকুর পাঁচিল দিয়ে ঘেরাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভরতপুর থানা চত্বর। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে রইল কান্দি-কাটোয়া রাজ্য সড়ক। আর এই বিক্ষোভ এবং রাজ্য সড়ক অবরোধের নেতৃত্ব দিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক। পরে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভরতপুর থানার ওসি রাজু মুখার্জি থানার ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত একটি পুকুর পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেন। এই খবর পাওয়া মাত্র স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ভরতপুর ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজানের নেতৃত্বে থানাতে গিয়ে পুকুরটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ বন্ধ করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু থানার পক্ষ থেকে জমিতে গড়ে ওঠা নির্মাণ কাজ বন্ধ না করায় পুলিশের সঙ্গেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন আঞ্চলিক তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা ও কর্মীরা। ঘটনার জেরে ভরতপুর থানার ওসির অপসারণ দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আমি বিধায়ক হিসাবে বলছি ভরতপুর থানার ওসি যে আচরণ করেছেন, যেভাবে পুলিশের ক্ষমতা দেখাচ্ছেন তা সবাই দেখেছে। ওই জায়গায় আমাদের এক বছর ধরে একটি খলফা দিয়ে অস্থায়ী পার্টি অফিস ছিল। এই কিছুদিন হল খলফা সরিয়ে আমরা ওখানে স্থায়ীভাবে পার্টি অফিস করতে চেয়েছি। এখন ওসি বলছে এটা নাকি পুলিশের জায়গা। জোর করে পুলিশ দখল করছে।সূত্রের খবর, থানার পাশে একটি জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা রয়েছে। সেই জমিটি মেপে সেটি পুলিশের অধীনে রয়েছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই সেখানে পার্ক সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর তখনই তার বিরোধিতায় নামলেন খোদ শাসকদলের বিধায়ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সালার সার্কেলের পুলিশ অফিসার জয়ন্ত শর্মা এবং কান্দি মহকুমা আরক্ষা আধিকারিক সাগর রানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct