সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: বীরভূম জেলার সিউড়ি অন্ডাল রেলের কচুজোড় স্টেশন সংলগ্ন আণ্ডারপাস রাস্তাটি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় দুই চাকা গাড়ি সহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার পাঁচ-ছয়টি গ্রামের লোকজনের সদর শহর সিউড়ি রুটি রুজির সন্ধানে এবং বাজার যাবার একমাত্র পথ। যারফলে এলাকার মানুষজন রেল কতৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং বৃহস্পতিবার সকালে কচুজোড় রেল স্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হন রাস্তা পারাপারে আটকে পড়া স্থানীয় গ্রামের মানুষজন।প্রায় সাড়ে চারঘন্টা ধরে কচুজোড় স্টেশনেই রেললাইনে দাড়িয়ে অবরোধে সামিল হতে দেখা যায়। জানা যায়,কচুজোড় রেল স্টেশনের পাশে রেলের নবনির্মিত আন্ডারপাসে জল জমার সমস্যা দীর্ঘ দিনের।এলাকাবাসী বহুবার রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও জল নিকাশি ব্যবস্থার কোনো সুরাহা হইনি বলে অবরোধ কারীদের অভিযোগ।যার ফলে এই রাস্তার উপর যাতায়াতকারী বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা যৌথভাবে প্রতিবাদে নামেন। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে অন্ডাল রামপুরহাটগামী লোকাল ট্রেন। উল্লেখ্য এতদিন পর্যন্ত রেলের ফটক ছিল কিন্তু ট্রেন যাওয়ার ফলে দীর্ঘ যানজট তৈরি হত।সেই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রেল কতৃপক্ষ আন্ডারপাস তৈরি করে দেয় জল নিকাশির ব্যবস্থা ছাড়াই বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। একটু বৃষ্টি হলেই সেখানে জলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে রাস্তাটি। এই আন্ডারপাস দিয়ে প্রায় ৫০টি গ্রামের বাসিন্দারা নিত্যদিন যাতায়াত করেন। কিন্তু জল জমার ফলে সকলের যাতায়াত বন্ধ,তাই ঘুরপথে যেতে সকলকে বাধ্য ।অবরোধ কারীদের দাবি বন্ধ রেল গেট অবিলম্বে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে রেল কতৃপক্ষকে।রেল অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিউড়ি সদর সার্কেল ইন্সপেক্টর কিশোর সিনহা চৌধুরি, সদাইপুর থানার ওসি মহম্মদ মিকাইল মিয়া,এডিআরএম মুকেশ কুমার মীনা, এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ কুমার, সিনিয়র সেকসন ইঞ্জিনিয়ার রজত কুমার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করে জানান, “আপাতত চারটি মোটর পাম্প লাগিয়ে জমা জল বের করে দেওয়া হবে।” তাঁদের আশ্বাসে বিক্ষোভ অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা বলে জানা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct