আপনজন ডেস্ক: ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এই সার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বাড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এই ফসলের উৎপাদন বাড়বে। কমবে দাম। কেমিক্যাল সারের আমদানি নির্ভরতা কমবে। উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বিভিন্ন প্রকার জৈববস্তুকে কিছু বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর সাহায্যে কম সময়ে জমিতে প্রয়োগের উপযোগী উন্নতমানের জৈবসারে রূপান্তর করাকে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার বলে। বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্মি কম্পোস্ট বিষয়ে গবেষণা চলছে । উন্নত মানের ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করতে কেঁচোর দুটি প্রজাতি ইউড্রিলাস ইউজেনি ও আইসেনিয়া ফিটিডা-কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে ইউড্রিলাস ফিটিডার ব্যবহার বেশি। ইউড্রিলাস ইউজেনি কেঁচোর সহনশীলতা বেশি। বিভিন্ন জৈব কীটনাশক যেমন- নিম খোল, মহুয়া খোল, গ্লাইরিসিডিয়া, ইউপাটোরিয়ামের প্রতি অনেক বেশি সহনশীলতা দেখায়। বিভিন্ন ধরনের মাটির সঙ্গে কেঁচোর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয় বলে স্থানীয় মাটিতে কেঁচোর সাহায্যেই জৈবসার তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাইরে থেকে কেঁচো নিয়ে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। বড় গর্ত, ট্যাংক বা কংক্রিটের বৃত্তাকার পাত্র-রিং অথবা যে কোনও বড় পাত্রে কেঁচোর প্রজনন ঘটিয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়। গবেষণায় জানা গেছে, কৃষিতে কেঁচোসার বা ভার্মি কম্পোস্টের গুরুত্ব অনেক। বিজ্ঞানী চালর্স ডারউইন সর্বপ্রথম কেঁচোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সবাইকে অবগত করিয়েছেন। কেঁচো ভূমির অন্ত্র এবং পৃথিবীর বুকে উর্বর মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে, যার ওপর ফসল উৎপাদন করা যায়। এ অতি সাধারণ, ক্ষুদ্র প্রাণীটি পচনশীল জৈবপদার্থ থেকে সোনা ফলাতে পারে, কেঁচোসার বা ভার্মি কম্পোস্টে রূপান্তরিত করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct